খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

রবিবার, ১লা জুন ২০২৫

প্রাপ্য অর্থ চেয়ে বিসিবি সভাপতিকে এনএসসির চিঠি

বিভিন্ন সময়ে খেলাধুলা থেকে প্রাপ্ত অর্থ থেকে নিজেদের প্রাপ্য অর্থ চেয়ে আজ বুধবার (৯ এপ্রিল) জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ হতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের নিকট চিঠি প্রেরণ করা হয়েছে।   

মন্ত্রীপরিষদের সিদ্ধান্ত এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ফেডারেশন বা এসোসিয়েশনগুলোর খেলাধূলা আয়োজনের প্রাপ্ত গেটমানি (টিকিট) থেকে ১৫ শতাংশ অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে (এনএসসি) প্রদান করতে হয়।

২০০৮ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান নির্দেশিত আইনে খেলাধূলার বিপণন ও প্রচার স্বত্বের আয় হতে (ভ্যাট, আয়কর ব্যতীত) ১০ শতাংশ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের প্রাপ্য।

এই দুই খাতে প্রাপ্য অর্থ চেয়ে আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদকে চিঠি দিয়েছেন।

২০০৭-২০২২ পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড ২ কোটি ৪২ লাখ ৭৭ হাজার ৩৪৭ টাকা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে প্রদান করেছে গেটমানি বাবদ। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ প্রাপ্ত এই অর্থকে প্রকৃত প্রাপ্যের তুলনায় অনেক কম এবং বাস্তবসম্মত মনে করে না। কাঙ্ক্ষিত মাত্রার চেয়ে গেট মানির হিস্যা কম পেলেও প্রচার স্বত্বের এখনো কিছুই পায়নি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

২০১৯-২২ অর্থ বছরে বিসিবি গেটমানি বাবদ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে ৫৩ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৭ টাকা প্রদান করেছে। তাই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ২০২২-২৩ অর্থ বছর হতে জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক খেলা আয়োজনের প্রাপ্ত গেট মানির ১৫ শতাংশ ও প্রচার স্বত্বের আয়ের ১০ শতাংশ টাকা প্রদানের অনুরোধ জানিয়েছে।

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের আয়ের অন্যতম উৎস বিসিবির এই দুই খাত। বিসিবি নিয়মিত এই খাতে অর্থ পরিশোধ না করায় জাতীয় ক্রীড়া পরিশোধ অডিট আপত্তির মুখে পড়ে।

কোটি টাকা চেয়ে বিসিবি সভাপতিকে এনএসসির চিঠি

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে ১০ কোটি টাকার বেশি টিকিট বিক্রি করেছে। বিসিবি সভাপতি টিকিট বিক্রির অঙ্ক নিজেই প্রকাশ করেছেন। ফলে এই অঙ্কের ১৫ শতাংশ অর্থ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে কোটি টাকার ওপর প্রাপ্য।

গত দুই অর্থ বছরে আরো অনেক আন্তর্জাতিক, ঘরোয়া সিরিজ মিলিয়ে বেশ বড় অঙ্কের টাকা পাওয়ার কথা শুধু গেটমানি বাবদই। আর প্রচার স্বত্ত্ব অনেক বড় অঙ্কে বিক্রি করে বিসিবি। সেটির থেকেও দশ শতাংশ প্রাপ্য জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড টিকিট ও প্রচার স্বত্বের সঠিক হিসাব জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে কখনো দেয় না। আবার জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ অভিভাবক সংস্থা হলেও সেই হিসাব আদায় করতে ব্যর্থ হয়েছে বিগত সময়ে। মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিভিন্ন অঙ্ক দাবি করেছে এই দুই খাতে।

বিসিবি স্থাপনা সংস্কার ব্যয়সহ আরও অনেক খাতের ব্যয় দেখিয়ে উল্টো জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের টাকা চেয়ে চিঠি দেওয়ার ঘটনাও রয়েছে।

যদিও ২০০৬ সালে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ বিসিবিকে পাঁচটা স্টেডিয়াম বরাদ্দের সময় সেই সকল স্টেডিয়ামের সংস্কার ব্যয় বিসিবিকেই বহন করতে হবে।

আজ বিসিবি সভাপতির কাছে প্রেরিত চিঠিতে গেট মানি ও প্রচার স্বত্বের প্রকৃত হিসাবও চেয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy