বায়ার্ন-বেনফিকার জয়ের রাতে হেরেছে আটালান্টা-এসি মিলান
চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে-অফের প্রথম লেগে সেল্টিককে হারিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। একই ব্যবধানে ক্লাব ব্রুগ জিতেছে আটালান্টার বিরুদ্ধে। বেনফিকার কাছে মোনাকো হারলেও, ফেইনুর্ডের কাছে পরাজিত হয়ে আপসেটের গল্প লিখেছে ইতালিয়ান জায়ান্ট এসি মিলান।
রাউন্ড অব সিক্সটিনে যাওয়ার প্লে-অফের প্রথম লেগে সেল্টিকের বিরুদ্ধে ২-১ গোলে জিতেছে বায়ার্ন মিউনিখ। পুরো ম্যাচে বল পজিশন থেকে শুরু করে পাসিং এক্যুরেসি; সেল্টিক-বায়ার্নের লড়াইটা ছিল সমানে সমান। সেল্টিকের মাঠে প্রথম মিনিটেই পিছিয়ে পড়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ, যদিও অফসাইডের কারণে সে যাত্রায় রক্ষা পায় তারা। এরপর প্রথমার্ধের বাকিটা সময় ছিল বায়ার্নেরই, ৪৫ মিনিটে মাইকেল ওলিসের গোলে দলটা এগিয়ে যায়। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে দারুণ ভলিতে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন হ্যারি কেইন। ৭৯ মিনিটে সেল্টিকের দাইজেন মাইয়েদা ব্যবধান ২-১ করলে ম্যাচে রোমাঞ্চ ফেরে। তবে শেষ কয়েক মিনিট সেল্টিককে আটকে দিয়ে দারুণ জয়ে মাঠ ছাড়ে জার্মান ৬ বারের শিরোপাধারীরা।
একই ব্যবধানে আটালান্টাকে হারিয়েছে ক্লাব ব্রুগ। নিজেদের মাঠে ফেরান জুটগ্লার গোলে ম্যাচের ১৫ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। ম্যাচের প্রথমার্ধেই আটালান্টার হয়ে গোল শোধ করেন মারিও পাসালিক, ম্যাচের সময় তখন মাত্র ৪১ মিনিট। ম্যাচে যখন সমতায় শেষ হওয়ার অপেক্ষা, দ্বিতীয়ার্ধের অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টি থেকে গোল করে ক্লাব ব্রুগকে ম্যাচ জেতান গুস্তাফ নিলসন।
অপরদিকে, ফেইনুর্ডের মাঠে ম্যাচের তিন মিনিটেই গোল খেয়ে বসে ৭ বারের চ্যাম্পিয়ন এসি মিলান। ইগর পায়াক্সাওয়ের গোলে এগিয়ে গেলেও ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ এসি মিলানের হাতেই ছিল। বল পজিশন, পাসিং এক্যুরেসি, শট, অন টার্গেটে শট; সব জায়গাতেই এগিয়ে ছিল মিলান; শুধুমাত্র গোলটা ছাড়া। কিন্তু দিনশেষে ফুটবল গোলের খেলা, সেখানেই পিছিয়ে গেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। ম্যাচ হেরে বসে ১-০ ব্যবধানে।
একই ব্যবধানে মোনাকোর মাঠে জিতেছে বেনফিকা। গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর ম্যাচে প্রাণ আসে ৪৮ মিনিটে, ভ্যাঙ্গেলিস পাভলিদিস গোল করে বেনফিকাকে এগিয়ে দিলে। মিনিট চারেক পরে মোনাকো দশজনের দলে পরিণত হয় যখন আল-মুসরাতি লাল কার্ড দেখেন। এরপর দশজনের মোনাকোকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে বেনফিকা।