প্রতিবেদন প্রকাশের আগেই কোচের মন্তব্যে ‘বিব্রত’ কমিটি
নারী ফুটবল উদ্ভুত সংকটে বাফুফের যে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি বিশেষ কমিটি গঠন হয়েছে, আজ সেই কমিটির তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করার কথা। প্রতিবেদন দাখিলের আগের দিন গতকাল গণমাধ্যমের কাছে কোচ পিটার বাটলারের, ‘হয় তারা থাকবে, না হয় আমি’– এমন মন্তব্যে কমিটি খানিকটা বিব্রত। বিশেষ কমিটির একাধিক কর্মকর্তা এমন মনোভাব পোষণ করেন।
খেলোয়াড়-কোচ দ্বন্দ্বে বাফুফের অনেক কর্মকর্তাই ব্যক্তিগতভাবে কোচের প্রতি ইতিবাচক অবস্থানে ছিলেন ৷ তদন্ত চলাবস্থায় কোচ গতকাল যেভাবে মন্তব্য করেছেন এতে অনেকেই নাখোশ। তাদের দৃষ্টিতে, মেয়েরা যেমন ভুল করেছে সেই ভুল তো এত পেশাদার ও অভিজ্ঞ হয়ে কোচও করলেন।
গতকালের ভুলটি বাফুফে কর্তাদের চোখে কিছুটা নজর কাড়লেও কাঠমান্ডুতে সাফ চলাকালীন সময়ে সাক্ষাৎকারে করা মন্তব্যের বিষয়টি তারা যেনো ভুলেই গেছেন। এত চাপ নিয়ে মেয়েরা মাঠে খেলে চ্যাম্পিয়ন হলেও ফেডারেশনের কাছে যেন কোচের গুরুত্ব বেশি। এজন্য চ্যাম্পিয়ন ফুটবলারদের চুক্তি না হলেও কোচের চুক্তি নবায়ন হয়েছে।
৩০ জুন রাতে বাফুফের জরুরি কমিটির সভায় সাত সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়। সেই কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন সভাপতির নিকট পেশ করতে বলা হয়। আজ সেই সাত দিনের সময়সীমা শেষ হচ্ছে। আজই কমিটির প্রতিবেদন পেশ হওয়ার কথা। এজন্য আজ সন্ধ্যা ৬ টায় ফেডারেশনে বিশেষ কমিটির শেষ আনুষ্ঠানিক সভা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কমিটির একাধিক ব্যক্তি।
যতটুকু জানা গেছে, নারীদের চিঠির ভিত্তিতে খেলোয়াড়-কোচের মন্তব্য নিয়ে কমিটি প্রতিবেদন দেওয়ার কথা। কালকে কোচের শৃঙ্খলা বহির্ভূত মন্তব্য এই প্রতিবেদনে আসবে কিনা এ নিয়ে খানিকটা দোলাচল রয়েছে। আজ সভা শেষে কমিটির উপস্থিত সকলে স্বাক্ষর করে সভাপতি বরাবর জমা দেবেন।
বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল রাজনৈতিক সফরে তিন সপ্তাহের বেশি সময় দেশের বাইরে অবস্থান করেছিলেন। এএফসির একটি সভায় যোগ দিয়ে গতকাল দেশে ফিরেছেন। আজ ফেডারেশনে আসার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। নারী ফুটবল ইস্যুতে বাফুফে বেশ সংকটে এমন পরিস্থিতিতে ফেডারেশনের সভাপতির সশরীরে ভবনে উপস্থিতি প্রয়োজন। এই বিষয়টি ফুটবলাঙ্গনে সবাই অনুধাবন করলেও তিনি কি করেন সেটাই দেখার বিষয়।