খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বুধবার, ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

বিদ্রোহী ফুটবলারের সংখ্যা কমাতে সুমাইয়ার বাবাকে ফোন

বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালকে কোচ সংক্রান্ত ইস্যুতে চিঠি দিয়েছেন ১৮ নারী ফুটবলার। সেই চিঠি নিয়েই মূলত বাফুফের গঠিত বিশেষ কমিটি কাজ করছে। সতীর্থদের অনুরোধে সভাপতির কাছে ইংরেজীতে চিঠি লিখেছিলেন জাপানি বংশোদ্ভূত বাংলাদেশের জাতীয় নারী ফুটবলার সুমাইয়া মাতসুসিমা।

গতকাল সুমাইয়ার বাবাকে ফোন করেছিলেন বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণ। সুমাইয়াকে তার বাবা সেটি অবহিত করেন। এরপর সুমাইয়া তার অবস্থান ব্যাখ্যা করেন দৃঢ়ভাবে। পরবর্তীতে তার বাবা তাকে সায় দেন।

সুমাইয়া সামগ্রিক বিষয়ে বলেন,

‘ফেডারেশন থেকে (কিরণ) আমার বাবাকে ফোন করে বলেছে, ‘আমাকে যেন ক্যাম্পে না পাঠায় এবং আমাকে সাবিনারা ব্রেনওয়াশ করছে তাই আমি যেন তাদের সঙ্গ ত্যাগ করি। আমি বাবাকে পুরো বিষয়টি বুঝিয়েছি বাবা আমার কথায় আশ্বস্ত হয়েছে। আমি খুব সক্রিয়ভাবে আন্দোলনের সঙ্গে রয়েছি। যা করছি সজ্ঞানেই এবং শেষ পর্যন্ত এর সঙ্গেই থাকব।’

গণমাধ্যমে বাংলায় আর সভাপতির কাছে ইংরেজীতে চিঠি নিয়ে খানিকটা বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। বিশেষ কমিটির কাছে সাক্ষ্য দেওয়া সবাই স্পষ্ট বলেছেন সুমাইয়া চিঠি লিখেছেন। তার চিঠি লেখার যোগ্যতা-সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও এটি গ্রহণযোগ্য না হয়ে আরো সমালোচনা ও প্রশ্নের মধ্যে পড়ায় বেশ কষ্ট পাচ্ছেন এই জাতীয় ফুটবলার,

‘আমি ইংরেজী মাধ্যমে পড়ছি ছোট থেকেই এবং ফুটবলও খেলছি জাতীয় পর্যায়ে। ফুটবল নিয়ে এ রকম একটি চিঠি লেখার গুণাবলি আমার রয়েছে।’

সুমাইয়ার বাসা ঢাকায় থাকলেও তিনি বাফুফের ক্যাম্পেই থাকেন। সপ্তাহে একদিন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস করেন। বৃহস্পতিবার অনুশীলন শেষ করে তিনি বাসায় যান। শুক্রবার ছুটি কাটিয়ে আবার ফেডারেশনের ক্যাম্পে আসেন। এভাবেই গত দুই বছর তিনি কাটিয়েছেন।

বাফুফের বিশেষ কমিটি নারী খেলোয়াড়দের কথা শুনেছে, কোচিং স্টাফের সঙ্গে বসবে। এরপর একটি প্রতিবেদন সভাপতির কাছে দেয়ার কথা। তদন্তাধীন বিষয়ের মধ্যেই একজন ফুটবলারকে কেন ক্যাম্প ত্যাগ বা অন্য ফুটবলারদের সঙ্গ ত্যাগ করতে বলছে নারী উইংয়ের প্রধান এই বিষয়ে মন্তব্য নেওয়ার জন্য ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

পিটার বাটলারের অধীনে অনুশীলন করতে চান না ১৮ নারী ফুটবলার। তারা বাফুফে ভবনে থেকে নিজেদের মতো জিম করলেও সিদ্ধান্তে অটল থাকায় অনুশীলন বর্জন করে চলছেন। ১৮ জনের মধ্যে তিন জন রয়েছেন বিকেএসপির বর্তমান শিক্ষার্থী।

গতকাল বিকেএসপির ডিজি এসে শৃঙ্খলার কথা বললেও তাদের অবস্থান পরিবর্তন হয়নি। আজ বাফুফের নারী উইংয়ের প্রধান এক ফুটবলারের অভিভাবকের দ্বারস্থ হয়েছেন বিদ্রোহী সংখ্যা কমাতে। ফেডারেশন কর্তাদের এমন পরিস্থিতিতে পড়তে হতো না যদি আগে থেকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতেন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy