খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫

বাংলাদেশের ছোট্ট মুগ্ধের কাছে কুপোকাত পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন কার্লসেন!

তর্কসাপেক্ষে তাকে সর্বকালের সেরা দাঁবাড়ু ভাবেন কেউ কেউ। পাঁচবার হয়েছেন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। নরওয়ের সেই গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে দিল বাংলাদেশের ৯ বছর বয়সী দাবাড়ু রায়হান রশিদ মুগ্ধ। এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশের ফিদেমাস্টার নাঈম হক।

রাজধানীর সাউথ পয়েন্ট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র, বয়স মাত্র ৯ বছর। এই বয়সেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাগনাস কার্লসেনকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছে বাংলাদেশের খুদে দাবাড়ু রায়ান রাশিদ মুগ্ধ। কার্লসেনের সঙ্গে অবিশ্বাস্য এই ম্যাচটি খেলেছে শনিবার অনলাইন দাবার সবচেয়ে বড় প্লাটফর্ম চেস ডট কমে।

চেস ডট কমে খেলতে হলে সাধারণত ওই নির্দিষ্ট দাবাড়ুকে নিজের প্রোফাইল থেকে টুর্নামেন্টে অংশ নিতে হয়। কিন্তু ছোট্ট মুগ্ধর এখনও কোনও খেতাব পাওয়া হয়নি। চেস ডট কমে নিজের কোনও প্রোফাইলও নেই। তাই জাতীয় দলের আরেক দাবাড়ু ও তার কোচ নাঈম হকের প্রোফাইল থেকে খেলায় অংশ নেয় মুগ্ধ। আর সেখানেই পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে সে।

 

ছবি: গ্র্যান্ডমাস্টার ম্যাগনাস কার্লসেন

মুগ্ধ যে গেমটি খেলেছে সেটার নাম বুলেট গেম। এটা খেলার নিয়ম হলো, এক মিনিটের মধ্যে ম্যাচটি দ্রুত শেষ করতে হবে। ফিদে মাস্টার, আন্তর্জাতিক মাস্টার, গ্র্যান্ড মাস্টারসহ খেতাব পাওয়া দাবাড়ুরা অনলাইনে এই টুর্নামেন্ট নিয়মিত খেলেন। তবে কার সঙ্গে কার খেলা পড়বে সেই পেয়ারিং আগে থেকে জানার উপায় থাকে না। সফটওয়ারের মাধ্যমে এক রাউন্ড পর এক রাউন্ড নির্ধারিত হয় কে কার সঙ্গে খেলবে। সেভাবেই সৌভাগ্যক্রমে ম্যাগনাস কার্লসেনের মুখোমুখি হয় মুগ্ধ।

মুগ্ধর কোচ নাঈম হকও শুরুতে বিশ্বাস করতে পারেননি ব্যাপারটা। তিনি বলেন,

“আমি মুগ্ধকে খেলা শেখাই। ও সব সময় অনলাইনে খেলতে চায়। আমি বললাম, তাহলে আমার আইডি দিয়ে খেলো। এরপর ও হঠাৎ ফোন করে বলে কার্লসেনকে হারিয়ে দিয়েছে। শুনে তো আমি বিশ্বাস করিনি। ও এরপর খেলার স্ক্রিনশটসহ সব তথ্য পাঠিয়ে দেয় আমাকে।”

ছবি: নাঈম হকের ফেইসবুক থেকে নেয়া খেলার স্ক্রিনশট

 

মুগ্ধর মধ্যে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার  সব গুণ দেখছেন নাঈম,

“ওর মধ্যে আমি অনেক সম্ভাবনা দেখেছি। এখনকার সময়ের অনেক দাবাড়ুর চেয়ে এগিয়ে সে।”

ছবি: কোচ নাঈম হকের সাথে মুগ্ধ

 

মুগ্ধর দাবার হাতেখড়ি বাবা মাহবুবুর রশীদের কাছ থেকে। এভাবে কার্লসেনকে হারিয়ে দেবে সে নিজেও ভাবেনি,

“আমি শুরুতে ভাবতেই পারিনি কার্লসেনকে হারিয়ে দেব। তবে এক সময় এসে উনি একটা কুইন ব্লান্ডার করেন। এরপরই আমি বুঝতে পেরেছি ম্যাচটা জিততে পারব। শেষ পর্যন্ত জিতে গেছি। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নকে হারানোয় আমার মধ্যে আত্মবিশ্বাস অনেক বেড়েছে। ভবিষ্যতে আরও ভালো খেলতে এই ম্যাচ অনুপ্রেরণা যোগাবে।”

বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১০ জুনিয়র চ্যাম্পিয়ন হয়ে এরই মধ্যে ছোটদের বিভাগে নিজের প্রমাণ করেছে মুগ্ধ। এছাড়া ব্যাংককে এশিয়ান স্কুল দাবায় অংশ নিয়েছে গত ডিসেম্বরে। নিজেকে বহুদূর নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখে সে। স্বপ্ন দেখে গ্র্যান্ডমাস্টার হওয়ার।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy