খান সাহেবের লঞ্চের ধাক্কায় ফের বুড়িগঙ্গার তলদেশে ক্যাপিটালস!
চট্টগ্রাম মানে তামিম আর তামিম মানেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং। তবে আজ ঘরের ছেলে তামিমের সাথে গ্যালারি ভর্তি দর্শকদের দুর্দান্ত ব্যাটিং উপহার দিয়েছে তানজিদ তামিমও। দুই তামিম অর্ধশতক করলেও জয়টা এসেছে খান সাহেবের ঝুলিতেই।
দুর্বার রাজশাহীর বোলারদের পেয়ে কি তাণ্ডবটাই না চালিয়েছিলেন লিটন দাস! তবে খান সাহেবের লঞ্চের ধাক্কায় ফের বুড়িগঙ্গার তলদেশে ক্যাপিটালস!
ফরচুন বরিশালের শক্তিশালী বোলিং লাইনআপের সামনে আরও একবার বেহাল দশা ঢাকা ক্যাপিটালসের। ৬ ম্যাচ শেষে জয়ের দেখা পেলেও নিজেদের ৮ম ম্যাচে আবার হেরেছে ঢাকা।
অন্যদিকে, ৪র্থ জয় তুলে নিয়ে বরিশাল উঠে গেছে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে।
ছোট্ট আরহান ইকবাল খান গ্যালারিতে বসে দেখছিল বাবার খেলা। ধারাভাষ্যকার মাজহার উদ্দিন অমি কথা বলছিলেন তার সাথে। ছেলেকে যখন পর্দায় দেখাচ্ছে সেই মুহুর্তে তামিম হাঁকালেন বিশাল ছক্কা।
তখনই আরহান বলে উঠল, বাবার ডাউন দ্য উইকেটের শটটাই তার বেশি প্রিয়।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পরও বিপিএলে উজ্জ্বল তামিম। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে ৪৮ বলে করেছেন ৬১ রান। ইনিংসটি সাজান ৬ চার ও ১ ছক্কায়।
এই ফিফটিতে একটা রেকর্ডও গড়েছেন তামিম। বরিশালের হয়ে এখন সর্বোচ্চ সাতটি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস খেলা ব্যাটার। পেছনে ফেলেছেন সাকিব আল হাসানের খেলা ছয়টি পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংসকে।
চট্টগ্রাম পর্বের প্রথম ম্যাচে ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা।
লিটন-তানজিদ জুটি ভাঙার পর ব্যর্থ হন মুনিম শাহরিয়ার, সাব্বির রহমান, থিসারা পেরেরা ও নামিবিয়ান ক্রিকেটার জেপি কটজে।
লিটনের পর সাব্বির-মোসাদ্দেকও পনেরোর আগেই ধরেন সাজঘরের পথ। তানজিদ স্রোতের বিপরীতে হেঁটে ৪৪ বলে ৬২ রান করে ক্ষান্ত হন। হাঁকান দুটি চার ও চারটি ছক্কা।
শেষদিকে ফরমানউল্লাহ সাফি ১৬ বলে ২২ রান করেন। তাতে ১৯.২ ওভারে অলআউট হয়ে যাওয়ার আগে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৩৯ রান।
বরিশালের পক্ষে তানভীর ইসলাম তিনটি, ফাহিম আশরাফ দুটি এবং জাহান্দাদ খান, রিপন মণ্ডল ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
মামুলী পুঁজি জড়ো করতে নেমে খুব একটা বেগ পোহাতে হয়নি বরিশালকে। নাজমুল হোসেন শান্ত ৩ বলে ২ রান করে বিদায় নিলেও তামিম ইকবালের সাথে দলের হাল ধরেন ডেভিড মালান।
৪৮ বলে ৬১ রান করে তামিম ক্ষান্ত হন ৬টি চার ও ১টি ছক্কা হাঁকিয়ে। মালান ৪১ বলে ৪৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
৪ বলে ১৩ রান করে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন জাহান্দাদ খান। বরিশাল জেতে ৪ ওভার ও ৮ উইকেট হাতে রেখে।