ভারতের বিপক্ষে দুই ম্যাচ হারের পর এখন ঘরের মাঠে বাংলাদেশ হারলো দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে। মিরপুরে স্পিন ফাঁদের আশা থাকলেও তেমন কিছু হয়নি। প্রথম ইনিংসে অল্পতে অলআউট হওয়ার পর সেভাবে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি কখনোই।
মিরপুরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে ৭ উইকেটে হারিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ইনিংসে ১০৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। নিজেদের প্রথম ইনিংসে প্রোটিয়ারা করে ৩০৮ রান। বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০৭ রানে অলআউট হলে ১০৬ রানের লক্ষ্য পায় তারা। ওই রান তাড়াক রতে পুরো সেশন খেলতে হয়নি দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
আগের দিন আলোক স্বল্পতার কারণে না পারলেও চতুর্থ দিনের শুরুতেই নতুন বল নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। অনুমতিভাবেই বোলিংয়ে আসেন কাগিসো রাবাদা। তৃতীয় বলে গিয়ে স্ট্রাইক পান নাঈম হাসান। প্রথম বলেই তিনি হয়ে যান এলবিডব্লিউ।
২৯ বলে ১৬ রান করা নাঈমকে ফিরিয়ে টেস্টে নিজের ১৫তম ফাইফার পূর্ণ করেন রাবাদা। নাঈমের বিদায়ের পর উইকেটে আসেন তাইজুল ইসলাম। তাকে নিয়ে শুরু হয় মিরাজের সেঞ্চুরি পাওয়ার লড়াই। মুল্ডারের ওভারে একটি চার হাঁকিয়ে আশাও জাগান তাইজুল।
কিন্তু লম্বা সময় মিরাজের সঙ্গী হতে পারেননি। ৭ বলে ৭ রান করে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা স্টাবসের হাতে ক্যাচ দেন মুল্ডারের বলে। তাইজুলের বিদায়ের সময় মিরাজের রান ছিল ৯৭।
তাকে কয়েকবার স্ট্রাইকও এনে শেষ ব্যাটার হাসান মাহমুদ। কিন্তু মিরাজের ছিল বেশি তাড়াহুড়ো। সেঞ্চুরির জন্য মরিয়া মিরাজ শেষ অবধি ৯৭ রানেই ক্যাচ দেন স্লিপে। রাবাদা পান তার ষষ্ঠ উইকেট। বাংলাদেশ লক্ষ্য দেয় ১০৬ রানের।
অল্প রান ডিফেন্ড করতে নেমে শুরুতে উইকেট তুলে প্রোটিয়াদের চাপে ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম উইকেটের জন্য ইনিংসের দশম ওভার অবধি অপেক্ষা করতে হয় স্বাগতিকদের। তাইজুল ইসলাম এইডেন মার্করামকে বোল্ড করেন ২৭ বলে ২০ রান করার পর। ভাঙে ৪২ রানের উদ্বোধনী জুটি।
দ্বিতীয় উইকেটটিও বাংলাদেশকে এনে দেন তাইজুল ইসলাম। ৫২ বলে ৪১ রান করা ওপেনার টনি ডি জর্জি তার বলে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের হাতে। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। পরে অবশ্য বাংলাদেশকে আরও একটি উইকেট এনে দেন তাইজুল।
১৩ বলে ১২ রান করে ডেভিড বেডিংহাম স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তার বলে। জয়ের জন্য যে তা যথেষ্ট ছিল না, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রথম ইনিংসের পাঁচ উইকেট পাওয়া তাইজুলের উইকেট সংখ্যাই কেবল বাড়িয়েছেন প্রোটিয়াদের তিন ব্যাটার।