ভুটানের মাঠে শেষ মুহূর্তের গোলে হেরে গেল বাংলাদেশ
‘দুই ম্যাচ জয়ের প্রতিশ্রুতি’ ছিল বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড় ও কোচের কণ্ঠে, কিন্তু তা বাস্তবায়িত হলো না। দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে ভুটানের বিপক্ষে নিষ্প্রাণ ফুটবল উপহার দিলেন মোরসালিন-ফাহিমরা, আর শেষ দিকে হজম করা একটি গোলই নির্ধারণ করল ম্যাচের ভাগ্য। ভুটান সফরে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অধরাই রয়ে গেল বাংলাদেশের জন্য।
থিম্পুর চ্যাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত রোববারের দ্বিতীয় প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে পরাজিত হয় বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে একই ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল হাভিয়ের কাবরেরার শিষ্যরা।
এশিয়ান কাপের তৃতীয় রাউন্ডের বাছাইয়ে পট থ্রি-তে জায়গা করে নেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে র্যাঙ্কিং উন্নত করতে ভুটান সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। দুইটি ম্যাচ জয়ের প্রত্যাশা থাকলেও, সেই লক্ষ্য পূরণ হয়নি।
দ্বিতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ কোচ দুটি পরিবর্তন আনেন। রাকিব হোসেন চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায় শাহরিয়ার ইমনকে আক্রমণভাগে এবং বিশ্বনাথ ঘোষের জায়গায় ইসা ফয়সালকে খেলান কাবরেরা।
খেলার শুরু থেকেই ভুটান আক্রমণাত্মক থাকলেও, তপু বর্মন ও ইসার দৃঢ় রক্ষণে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমাকে বড় পরীক্ষার মুখে পড়তে হয়নি। তবে মাঝমাঠের খেলায় ছন্দের অভাব ছিল, আর আক্রমণভাগেও তেমন কোনো চাপ সৃষ্টি করা যায়নি।
৩৩তম মিনিটে ভুটানের তিসেলত্রিম নামগাইলের শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন মিতুল। এরপর প্রথমার্ধের শেষ দিকে বাংলাদেশ দারুণ একটি সুযোগ পেলেও ইমনের শট ভুটানের গোলরক্ষক ধেনদুপ তিসেরাংয়ের গায়ে লেগে কর্নারের বিনিময়ে আটকে যায়।
দ্বিতীয়ার্ধে কাবরেরা আরও দুটি পরিবর্তন করেন, মিরাজুল ইসলাম ও রাব্বি হোসেন রাহুলকে মাঠে নামান। জাতীয় দলে অভিষেক হওয়া মিরাজুলের কাছ থেকে প্রত্যাশা থাকলেও, তিনিও দলের ভাগ্য বদলাতে পারেননি।
খেলার ৮৬তম মিনিটে ভুটান একটি ফ্রি কিক থেকে গোল আদায় করে নেয়। সতীর্থের হেড পাসে বক্সের ফাঁকায় থাকা কিংমা ওয়াংচুক নিখুঁত শটে বাংলাদেশের গোলরক্ষক মিতুলকে পরাস্ত করেন। ম্যাচের বাকি সময়ে বাংলাদেশ কোনো ভালো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি।
২০১৬ সালের পর আবারও ভুটানের মাঠে হারের তেতো স্বাদ পেল বাংলাদেশ। দুই দলের মুখোমুখি ১৬টি ম্যাচে বাংলাদেশের জয় ১২টি, ভুটানের ২টি, আর দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।