হলান্ডের হ্যাটট্রিকে সিটির দারুণ জয়
ম্যানচেস্টার সিটির জার্সিতে দশম হ্যাটট্রিকের দেখা পেলেন আর্লিং হলান্ড। এই স্ট্রাইকারের হ্যাটট্রিকেই ইপ্সউইচ টাউনকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা।
গতকাল শনিবার ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে স্যামি স্মডিক্সের গোলে পিছিয়ে পড়ার পর চার মিনিটের মধ্যে হলান্ডের দুটি ও কেভিন ডে ব্রুইনের একটি গোলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পেয়ে যায় সিটি। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হলান্ড।
নতুন মৌসুমে টানা দুই ম্যাচে জিতল সিটি। এর আগে প্রথম ম্যাচে চেলসিকে ২-০ গোলে হারিয়েছিল তারা।
ইপ্সউইচ দারুণ এক পাল্টা আক্রমণে সপ্তম মিনিটে এগিয়ে যায়। যদিও বক্সের বাইরে থেকে ওয়ান-অন-ওয়ানে স্যামি স্মডিক্সের শটে জোর ছিল না তেমন। বল গোলরক্ষক এদেরসনের পায়ে লেগে গড়িয়ে জালে জড়ায়।
কিন্তু ওই ধাক্কা সামলে ১২ থেকে ১৬- এই চার মিনিটের মধ্যে তিন গোল করে চালকের আসনে বসে সিটি। প্রথমে পেনাল্টি থেকে সমতা টানেন হলান্ড। সিটির ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড সাভিনিয়ো বক্সে ফাউলের শিকার হলে মনিটরে দেখে পেনাল্টি দেন রেফারি। প্রিমিয়ার লিগে ২৩ দলের মুখোমুখি হয়ে সবার বিপক্ষেই জালের দেখা পেলেন হলান্ড।
এরপর চতুর্দশ মিনিটে গোলরক্ষকের ভুলে দ্বিতীয় গোল হজম করে ইপ্সউইচ। সতীর্থের ব্যাকপাস পেয়ে ক্লিয়ার করতে অনেক দেরি করে ফেলেন গোলরক্ষক মারিক, তার কাছ থেকে বল কেড়ে নেন সাভিনিয়ো। বক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের শটে ফাঁকা জালে বল পাঠান ডে ব্রুইনে। সেই রেশ থাকতেই দারুণ নৈপুণ্যে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন হলান্ড। মাঝমাঠ থেকে উঁচু করে বল বাড়ান ডে ব্রুইনে, গোলরক্ষক পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে আসায় হেড করে বল তার পাশ দিয়ে বাম দিকে নিয়ে দুরূহ কোণ থেকে হাফ ভলিতে জালে পাঠান নরওয়ের তারকা।
বিরতির পর নির্ধারিত সময়ের দুই মিনিট বাকি থাকতে আরেকটি চমৎকার গোলে কাঙ্ক্ষিত হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হলান্ড। বক্সের বাইরে থেকে জোরাল নিচু শটে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেন গোল-মেশিনে পরিণত হওয়া ২৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। সিটির জার্সিতে হলান্ডের এটি দশম হ্যাটট্রিক। যার সাতটি হলো প্রিমিয়ার লিগে।