অবশেষে অলিম্পিকসের সোনা জিতে পূর্ণতার চূড়ায় জোকোভিচ
২৪ বারের গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপাজয়ী জোকোভিচের কাছে টেনিসের সম্ভাব্য সব শিরোপাই ধরে দেয়। শুধু অধরা ছিল অলিম্পিক স্বর্ণ। অবশেষে প্যারিসে সেই সাফল্যও পেলেন এবং ক্যারিয়ারের গোধুলিলগ্নে।
বিশ্বের শীর্ষ র্যাংকধারী স্পেনের কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে অবশেষে অলিম্পিক টেনিসের স্বর্ণ জিতলেন নোভাক জোকোভিচ। আজ রোলাঁ গারোঁয় অনুষ্ঠিত ছেলেদের এককের ফাইনালে বর্তমান ফ্রেঞ্চ ওপেন ও উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নকে ৭-৬ (৭-৩), ৭-৬ (৭-২) গেমে হারান জোকোভিচ।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর দীর্ঘ উদযাপন, পুরস্কার বিতরণী আয়োজন, একের পর এক চ্যানেলে প্রতিক্রিয়া জানানো, সব মিলিয়ে পেরিয়ে গেল অনেকটা সময়। নির্ধারিত সময়ের কিছুক্ষণ পর সংবাদ সম্মেলনে এলেন নোভাক জকোভিচ। তিনি কক্ষে পা রাখতেই তুমুল করতালিতে তাকে স্বাগত জানালেন সংবাদকর্মীরা। তার গায়ে জড়ানো দেশের পতাকা, গলায় ঝোলানো সূর্যের হাসির মতো সোনালি পদক আর চোখেমুখে গৌরব ও তৃপ্তির দীপ্তি।
পরের সময়টুকুতে তিনি যেন মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখলেন গোটা জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে থাকা সবাইকে। কোর্টে যেমন চোখধাঁধানো টেনিসের প্রদর্শনীতে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন এ দিন, তেমনি মাইক্রোফেনের সামনেও কথার ইন্দ্রজালে বুঁদ করে রাখলেন সবাইকে। যে পদকের অভিযান তিনি শুরু করেছিলেন ১৬ বছর আগে, অনেক পথ পেরিয়ে, দীর্ঘ যন্ত্রণাময় অপেক্ষার পর, বারবার হৃদয় ভাঙার বেদনা সয়ে অবশেষে এবার সেই স্বর্ণালী আভায় নিজেকে রাঙাতে পারলেন তিনি ৩৭ বছর বয়সে এসে।
ইতিহাসের পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে ‘গোল্ডেন স্লাম’ (সবকটি গ্র্যান্ড ও অলিম্পিক স্বর্ণ) জয়ের কীর্তি গড়লেন জোকোভিচ। তিনি ছাড়া এই কীর্তি আছে রাফায়েল নাদাল, সেরেনা উইলিয়ামস, আন্দ্রে আগাসি ও স্টেফি গ্রাফের।
দুই মাস আগে হাঁটুর ইনজুরির কারণে ফ্রেঞ্চ ওপেন খেলা হয়নি জোকোভিচের। তার হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করাতে হয়। ফিট হয়ে সেই রোলাঁ গারোঁয় জিতেছেন অলিম্পিক স্বর্ণ।