খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

রবিবার, ৮ই সেপ্টেম্বর ২০২৪

সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে মুখোমুখি ফ্রান্স-পর্তুগাল

হামবুর্গে শেষ আটের এই লড়াইয়ে ইউরোপের দুই ফুটবল পাগল জাতি নিজেদের এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামবে। দুই দলের কেউই এখন পর্যন্ত জার্মানিতে নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেনি।ফ্রান্স গত সাতটি বড় টুর্নামেন্টের ছয়টিতে কোয়ার্টার ফাইনালে খেলেছে।

কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের কোন খেলোয়ারই পেনাল্টি ছাড়া ওপেন প্লেতে কোন গোল করতে পারেনি। চলতি আসরে চার ম্যাচে মাত্র তিনটি গোল করেছে তারা।এর মধ্যে এমবাপ্পে একটি করেছেন পেনাল্টি থেকে। বাকি দুটি হয়েছে আত্মঘাতি গোল। শেষ ষোলতে জান ভেন্ট্রোজেনের আত্মঘাতি গোলে বেলজিয়ামকে ১-০ ব্যবধানে পরাজিত করে কোয়ার্টার ফাইনালের টিকেট পেয়েছে ফ্রান্স।অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে নাক ভেঙ্গে যাওয়ায় এমবাপ্পে খুব একটা স্বাভাবিক খেলা খেলতে পারছেন না। তার উপর মাস্ক পড়ে খেলা সবসময়ই অস্বস্তির। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ফ্রান্স গোলশূন্য ড্র করেছিল।

ইনজুরির কারণে এই ম্যাচটি খেলতে পারেননি এমবাপ্পে। পোল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে মাঠে ফিরে স্পট কিক থেকে এক গোল করেন তিনি। এটাই এমবাপ্পের এখনো পর্যন্ত ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপে সাত ম্যাচে প্রথম গোল।অন্যদিকে স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে শেষ ষোলতে টাইব্রেকারে জয়ী হয়ে শেষ আটের টিকেট পেয়েছে পর্তুগাল। গোলরক্ষক দিয়েগো কস্তা স্লোভেনিয়ার তিনটি শটই রুখে দিয়ে পর্তুগালকে জয় উপহার দিয়েছেন।অতিরিক্ত সময়ে রোনালদো পেনাল্টি মিস করায় ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণে পেনাল্টি শ্যুট আউটের প্রয়োজন হয়। ঐ ম্যাচে বেশ কিছু গোলের সুযোগ নষ্ট করেন ৩৯ বছর বয়সী রোনালদো। পেনাল্টি মিস করার পর কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।গ্রুপের প্রথম ম্যাচে পিছিয়ে পড়েও চেক প্রজাতন্ত্রকে ২-১ ব্যবধানে পরাজিত করেছিল পর্তুগাল। এরপর তুরষ্ককে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেয় তারা। ফর্ম বিবেচনায় ফ্রান্সের তুলনায় গোল করার ক্ষেত্রে অন্তত এগিয়ে রয়েছে তারা।

তিন বছর আগে এই দুই দল ইউরোতে গ্রুপ পর্বে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছিল। পেনাল্টি থেকে রোনালদো জোড়া গোল করলেও ম্যাচটি শেষ পর্যন্ত ২-২ গোলে অমিমাংসিত ছিল।নক আউট পর্বে যখনই এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে তখনই বিজয়ী দল শিরোপা জিতেছে। প্যারিসে ২০১৬ ইউরো ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ের গোলে পর্তুগাল জয়ী হয়েছিল।ইউরো ৮৪’তে মিশেল প্লাতিনির অতিরিক্ত সময়ের গোলে সেমিফাইনালে ফ্রান্স জয়ী হয়েছিল। ২০০০ সালের সেমিফাইনালে জিনেদিন জিদানের পেনাল্টিতে গোল্ডেন গোলে ফ্রান্স জয়ী হয়েছিল।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy