ডাচদের পাত্তাই দিলো না টাইগাররা
সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনের আর্নোস ভেল মাঠে গ্রুপ ‘ডি’র ম্যাচে বাংলাদেশের দেওয়া ১৬০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানে পরাজিত হয় ডাচরা। এই জয়ে সুপার এইটের রাস্তা আরো মজবুত হলো টাইগারদের।গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালকে হারালেই সুপার এইটে পা রাখবে বাংলাদেশ। টাইগারদের হয়ে ৪৬ বলে ৬৪ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাকিব আল হাসান।
দিনের শুরুতেই টসে জিতে টাইগারদের ব্যাটিয়ে পাঠায় ডাচরা।গতদিনের মতো আজকে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি টাইগারদের। শুরুতে আউট হয়ে যান দুই টপ অর্ডার ব্যাটার নাজমুল শান্ত এবং লিটন দাস।দলীয় ২৩ রান যুক্ত হতেই ২ উইকেট হারায় টাইগাররা।এরপর দারুণভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন তানজিদ তামিম আর সাকিব আল হাসান।ফলে পাওয়ার প্লে শেষে টাইগারদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৪-২। ২ব্যাটার মিলে করেন ৩২ বলে ৪৮ রানের এক অনবদ্য ইনিংস। তবে ৯ম ওভারের শুরুতেই বান মিকিরানের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরে যান এই ওপেনার।আউট হওয়ার আগে এই ব্যাটার করেন ২৬ বলে ৩৫ রান।আগের দুই ম্যাচের টপ পারফর্মার তাওহিন হৃদয় এইদিন দ্রুতই ফিরে যান।অপরপ্রান্তে রিয়াদকে সাথে নিয়ে রানের গতি বাড়াতে থাকেন সাকিব আল হাসান।এই দুই ব্যাটার মিলে গড়েন ৩২ বলে ৪১ রানের জুটি।ইনিংসের ১৭.২ ওভারে মাত্র ৩৮ বলে নিজের ১৩তম ফিফটি তুলে নেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।অনেকদিন পরে সাকিবের এমন ইনিংস নিঃসন্দেহে স্বস্তি দিবে টাইগার শিবিরে।এরপর রিয়াদও বেশিক্ষণ ঠিকতে পারেননি। শেষের দিকে জাকের আলীর ছোট্ট ইনিংসের ভর করে ১৬০ রানের লড়াকু পুঁজি পায় টাইগাররা।
সেন্ট ভিনসটে ১৬০ রানের লক্ষ্যে সাবধানী শুরু করেছিলেন নেদারল্যান্ডসের দুই ওপেনার মাইকেল লেভিট এবং ম্যাক্স ও’ডাউড। তবে ইনিংসের ৩য় ওভারে তাসকিনের শিকার হয়ে সাজঘরে ফিরেন লেভিট। ডাচ এই ওপেনার ফিরেছেন ১৮ রানে। পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিবও।
ডানহাতি এই পেসারের লেংথ ডেলিভারিতে টেনে মেরে গিয়ে তানজিম সাকিবের হাতেই ক্যাচ দিয়েছেন ম্যাক্স ও’ডাউড। ফলো থ্রুতে দারুণ এক ক্যাচ লুফে নিলে তাকে ফিরতে হয় ১২ রানে। উইকেট হারালেও প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি মেরে গেছেন ডাচ ব্যাটাররা। তিনে নামা বিক্রমজিত সিং ছিলেন শুরু থেকেই আক্রমণাত্বক। নিজের প্রথম ওভারে বোলিংয়ে এসে তার ঝড় থামিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
অভিজ্ঞ এই স্পিনারের বলে বিক্রমজিতকে ফিরতে হয়েছে লিটন দাসের কাছে স্টাম্পিং হয়ে। ঝড় তোলা এই ব্যাটার আউট হয়েছেন ১৬ বলে ২৬ রানে। তৃতীয় উইকেটে দারুণ এক জুটি গড়ে বাংলাদেশকে চোখ রাঙাচ্ছিলেন সাইব্র্যান্ড ও এঙ্গেলব্রেচ।। এমন মুহূর্তেই টানা দুই উইকেট তুলে নিয়ে ডাচদের চাপে ফেলেন রিশাদ হোসেন। এই লেগ স্পিনারের অফ স্টাম্পের বাইরে টার্ন করে বেরিয়ে যাওয়া বলের লাইন মিস করে আউটসাইড-এজড হয়ে কাভারে তানজিম সাকিবের দুর্দান্ত ক্যাচে আউট হয়েছেন তিনি।
ফলে ২২ বলে ৩৩ রান করে ফিরে যেতে হয় এঙ্গেলব্রেচকে। ফলে তাদের ৩১ বলে ৪২ রানের জুটি ভেঙেছে। পরের ব্যাটার বাস ডি লিডকেও থিতু হতে দেননি ডি লিডকে। রিশাদের টার্নে পরাস্ত হন ডি লিড। উইকেটের পেছনে দ্রুতগতির লিটন করেছেন স্টাম্পিং। এরপর বাংলাদেশকে উইকেট এনে দিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমানও। স্লোয়ার অফ কাটারে এক্সস দ্য ব্যাট খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়ে ২৩ বলে ২৫ রান করা এডওয়ার্ডস শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়েছেন জাকের আলী অনিকের হাতে। শেষ পর্যন্ত ১৩৪ রানে থামে ডাচরা।