খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শনিবার, ২৭শে জুলাই ২০২৪

টাইব্রেকারে সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে রিয়াল

বুধবার রাতে সিটির মাঠে মূল ম্যাচ ১-১ গোলে ড্রয়ের পর অতিরিক্ত সময়েও আসেনি সমাধান। পর টাইব্রেকারে পেনাল্টি শুটআউটে ৪-৩ ব্যবধানে জিতে রেকর্ড ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন রিয়াল পা রাখে শেষ চারে।

ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়া দিতে এসে আনচেলেত্তি শুরুতেই প্রশংসায় ভাসান নিজেদের রক্ষণের, ‘খুশি, কঠিন ম্যাচ ছিলো। আমরা জানতাম ভুগতে হবে, আমরা ভুগেছি। অবশ্যই কঠিন ম্যাচ। কিন্তু জিততে পারা…আমরা দারুণ অভিপ্রায় দেখিয়েছি, দারুণ মনোভাব প্রদর্শন করেছি। অসাধারণভাবে রক্ষণ সামলেছি।’

পুরো ম্যাচে আক্রমণে প্রবল প্রাধান্য ছিলো স্বাগতিক সিটির। ৬৭ শতাংশ বল দখলে রেখে গোলের জন্য ৩৩ শটের ৯টা লক্ষ্য রাখে তারা। রিয়াল কেবল ৮ শটের ৩টা লক্ষ্যে রেখেছিলো।

১২ মিনিটে রদ্রিগোর গোল ধরে রক্ষণ প্রাচীর গড়ে তোলে রিয়াল। একের পর এক আক্রমণের তোড় থেকে ৭৬ মিনিটে সিটির হয়ে সমতা আনেন কেভিন ডি ব্রুইনা। এরপর আবার জমাট রক্ষণে ম্যাচ টাইব্রেকারে নিয়ে গিয়ে সাফল্য আনে ইউরোপের সফলতম  ক্লাব।

রক্ষণ বিভাগকে নিয়ে তাই ভীষণ গর্ব হচ্ছে আনচেলেত্তির, ”আমি অবশ্যই ভীষণ গর্বিত কারণ এমন রক্ষণ করতে আমরা অভ্যস্ত নই। আমরা ফোকাস রেখেছি, মনোযোগ সরাইনি, রক্ষণ ভালো করেছি এই দিক থেকে আমরা খুব ভালো ছিলাম। অবশ্যই আমরা আরও নিয়ন্ত্রণ নিয়ে খেলতে পারতাম। কিন্তু সিটির বিপক্ষে কাজটা সহজ ছিলো না, তারা এখনো ইউরোপের চ্যাম্পিয়ন।’

রিয়াল কোচ স্বীকার করেছেন খেলায় প্রতিপক্ষই নিয়ন্ত্রণ করেছে ম্যাচ। তবে নিজেদের সামর্থ্যের উপর আস্থা ছিলো তাদের,  ‘অবশ্যই খেলায় তাদের নিয়ন্ত্রণ ছিলো বেশি। আমরা শুরুটা ভালো করেছিলাম, তারপর তারা চাপ প্রয়োগ করতে থাকল, আমাদের কঠিন পরিস্থিতি পার করতে হয়েছে। কিন্তু আমরা সামনে এগুনোর সামর্থ্য রাখতাম। মনোযোগ ধরে রেখেছি। শেষ পর্যন্ত আমরাই জিতেছি।’

‘গোলের পর আমরা পেছনে (রক্ষণে) থাকতে চেয়েছি। গোলটা ভালো ছিলো, খুব ভালো সমন্বয় ছিলো। আমরা কঠিন পরিস্থিতিতে ছিলাম, মাঝে মাঝে প্রতি আক্রমণের সুযোগ ছিলো, আমাদের সেটাই দরকার ছিলো।’

সেমিফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ এখন বায়ার্ন মিউনিখ। তবে ছন্দে থাকা সিটিকে বিদায় করে দিয়ে এখন ১৫তম বারের মতন চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার পথ অনেকটা সহজ দেখছেন রিয়াল কোচ, ‘আমাদের সেমিফাইনাল খেলতে হবে। গত দুই বছর সিটির বিপক্ষে খেললাম, এটা তৃতীয় বছর। ম্যানচেস্টার সিটি দুর্দান্ত দল। ইউরোপের অন্যতম সেরা দল। তাদেরকে হারানোর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতার রাস্তা খুলে গেল।।’

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy