অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলে ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক
নিউ জিল্যান্ড সফরের প্রস্তুতির জন্য ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে অ্যাডিলেইডে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টির পর বাড়ি ফিরে গেছেন পেসার জশ হেইজেলউড। তার ‘কভার’ হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে ২৭ বছর বয়সী পেসার ওয়েস অ্যাগারকে, সম্পর্কে যিনি অ্যাশটন অ্যাগারের ভাই।
পার্থে শেষ ম্যাচের জন্য আগেই দলে যোগ করা হয়েছিল জেভিয়ার বার্লেটকে। হেইজেলউডের জায়গায় টি-টোয়েন্টি অভিষেক হওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে তার। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে এই সংস্করণে অভিষেক হয় ২৫ বছর বয়সী পেসারের। ক্যারিয়ারের প্রথম দুই ম্যাচে তিনি শিকার ধরেন ৪টি করে।
ওই সিরিজে ওয়ানডে অভিষেক হয় ফ্রেজার-ম্যাকগার্কেরও। অভিষেকে সিডনিতে ৫ বলে ১০ রান করে আউট হলেও পরের ম্যাচে ক্যানবেরায় ৮৭ রানের লক্ষ্য তাড়ায় ১৮ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে নজর কাড়েন এই ওপেনার।
পার্থে অন্য খেলোয়াড়দের কয়েকজনকে বিশ্রাম দিতে পারেন অস্ট্রেলিয়ার নির্বাচকরা। ফলে একাদশের দরজা খুলে যেতে পারে ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের জন্য।
চার-ছক্কার ঝড় তুলে তিনি অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটে ‘নতুন ম্যাক্সওয়েল’ তকমা পেয়ে গেছেন জাতীয় দলে আসার আগেই। পার্থে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গেই একাদশে দেখা যেতে পারে তাকে।
ম্যাক্সওয়েলকে শেষ ম্যাচে বিশ্রামও দেওয়া হতে পারে। প্রাথমিকভাবে অ্যাডিলেইডে তাকে বিশ্রামে রাখার পরিকল্পনা ছিল। ওই ম্যাচেই সেঞ্চুরি করেন তিনি স্রেফ ৫০ বলে। স্পর্শ করেন এই সংস্করণে সবচেয়ে বেশি পাঁচ সেঞ্চুরির রোহিত শার্মার রেকর্ড।
অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডারে বিকল্প আছে যথেষ্ট। গত অক্টোবরে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটের ইতিহাসে দ্রুততম ২৯ বলে সেঞ্চুরি করা ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক আপাতত এই বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নির্বাচকদের প্রাথমিক ভাবনায় নেই। তবে গত সপ্তাহে নির্বাচক কমিটির প্রধান জর্জ বেইলি জানিয়ে দিয়েছেন, প্রতিভাবান এই ব্যাটসম্যানের অগ্রগিত খুব নিবিড়ভাবেই পর্যবেক্ষণ করছেন তারা।
এখন পর্যন্ত ৩৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে ১৩৩.৫৪ স্ট্রাইক রেটে ফ্রেজার-ম্যাকগার্কের রান ৬৪৫। গত বিগ ব্যাশে ২৫৭ রান করেন তিনি ১৫৮.৬৪ স্ট্রাইক রেটে।
ওয়েস অ্যাগার এখন পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে দুটি ওয়ানডে খেলেছেন, ২০২১ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে।
পার্থ স্টেডিয়ামে শেষ টি-টোয়েন্টি হবে মঙ্গলবার। প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।