এবার টি-টোয়েন্টিতেও ১০-এ নামল বাংলাদেশ
দুঃসময়টা কোনোভাবেই কাটছে না বাংলাদেশের। একের পর এক ম্যাচ হার, আর এর প্রতিফলন পড়ল আইসিসির র্যাঙ্কিংয়েও। সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে সিরিজ হারার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ হারের ফলে এবার আইসিসির টি-টোয়েন্টিতে র্যাঙ্কিংয়েও ১০-এ নামল বাংলাদেশ।
ওয়ানডের হালনাগাদকৃত র্যাঙ্কিংয়েও পিছিয়েছে বাংলাদেশ। টেস্টেও অবস্থা ভালো নয়—বাংলাদেশ আছে নবম স্থানে। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে সাম্প্রতিক সময়ে ধারাবাহিক ব্যর্থতার চিত্র যেন স্পষ্ট হয়ে উঠছে এবারের প্রকাশিত র্যাঙ্কিংয়ে।
টানা চার টি-টোয়েন্টি হেরেছে বাংলাদেশ। তাতে দলের খাতা থেকে পয়েন্ট কাঁটা গেছে ৫টি। আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজের আগে দলের রেটিং পয়েন্ট ছিল ২২৫। সেখান থেকে চার হারের পর এসে দলের রেটিং পয়েন্ট ঠেকেছে ২২০-তে।
আফগানিস্তানের রেটিং পয়েন্ট ছিল ২২৩, তারা চলে গেছে নয় নম্বরে। ১১তে থাকা আয়ারল্যান্ডের চেয়ে অবশ্য নিরাপদ অবস্থানে আছে বাংলাদেশ, তাদের পয়েন্ট ২০২।
২৭১ পয়েন্ট নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে আছে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত। ২৬২ রেটিং নিয়ে দুইয়ে অস্ট্রেলিয়া।
এ ছাড়া শীর্ষ পাঁচে আছে ইংল্যান্ড (২৫৪), নিউজিল্যান্ড (২৪৯) ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২৪৬)। ছয়ে আছে সবশেষ বিশ্বকাপের রানার্স আপ দক্ষিণ আফ্রিকা (২৪৫), সাতে আছে শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জেতা পাকিস্তান আছে আগের মতোই আটে। তবে রেটিং পয়েন্ট বেড়েছে দলটির। পাকিস্তানের পয়েন্ট ২২৯।
এর আগে বাংলাদেশকে চমকে দিয়ে সিরিজ জেতা সংযুক্ত আরব আমিরাত আছে ১৫ নম্বরে। ৪ রেটিং পয়েন্ট বেড়ে তাদের রেটিং পয়েন্ট এখন ১৮৩।
টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ চারে উঠেছিল ২০১২ সালে। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের পর বাংলাদেশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও ভারতের মতো দলকে। সেই সিরিজের পর টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের ওপরে ছিল ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা ও শ্রীলঙ্কা।
এখন দশে নেমে গেলেও বাংলাদেশের সামনে র্যাঙ্কিংয়ে ওপরে ওঠার সম্ভাবনা শেষ হয়ে যাচ্ছে না। পাকিস্তান সিরিজের পরই শ্রীলঙ্কা সফর আছে দলের।
এরপর ভারতের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। ফলে সেসব সিরিজে জিতলেই আবার ৯ কিংবা তারও ওপরে ওঠার সুযোগ থাকবে লিটন দাসের দলের সামনে। তবে দলের ফর্ম অবশ্য সেসবকে আপাতত অসম্ভব বলেই মনে করাচ্ছে।