ডিসেম্বরেই বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজের শেষ চান মন্ত্রী
দফায় দফায় সংস্কার ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৫ কোটি টাকা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই হচ্ছে না আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার। মাঠে পানি ছিটানোর জন্য যেখানে স্প্রিংকলার সিস্টেম ব্যবহার করার কথা, সেখানে পুরোনো ধাঁচের ‘জলকামান’ বসানো হয়েছে। মাঠ থেকে যার অবস্থান মাত্র তিন মিটার দূরে। ফলে অ্যাথলেটদের আঘাত পাওয়ার ঝুঁকি থাকছেই।
পানি ছিটানোর এই প্রযুক্তি নিয়ে মন্ত্রীর সামনেই উষ্মা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার। যন্ত্র বসানোর সময় তাদের দেখতে দেওয়া হয়নি দাবি করে ইমরান বলেন, “ভুল যন্ত্র বসানোর পর তাদের জানানো হলে এখন ভুল শুধরানোও হচ্ছে না। ঝুঁকিযুক্ত এই যন্ত্র না সরানো হলে মাঠে ফুটবল ফেরানো সম্ভব নয়।”
গণমাধ্যমকর্মীদের বসার স্থান প্রেসবক্সের সামনেও রাখা হয়েছে চারটি পিলার (স্তম্ভ)। ফলে প্রেসবক্সে বসে পুরো মাঠ দেখা সম্ভব নয়। এই স্তম্ভ নিয়ে উষ্মা জানান মন্ত্রীও।
“এই যে প্রেসবক্স নিয়ে এত কথা হচ্ছে, এই কথাটা আগেই মাথায় আসা উচিত ছিল। আমারও মনে হয়েছে, এই ধরনের পিলার প্রেসবক্সের সামনে আমি সাধারণত কখনো দেখি নাই। এই বিষয়গুলো কেন এল না, সেটা আগে দেখতে হবে। এখন যদি পরিবর্তন করা সম্ভব হয় দেখব, সম্ভব না হলে ভবিষ্যতে যেন এমনটা না হয় সেটা চেষ্টা করব। তবে পরিবর্তনের কথা বলে আরও এক-দুই বছর সময় বাড়ানো সম্ভব না।”
“কোন স্থাপনা করা বা সংস্কার করার আগে যে ফেডারেশন এটার সঙ্গে জড়িত, তাদের চাহিদামাফিক একটা পরিকল্পনা সাজাতে হবে। ওই পরিকল্পনা পাশ হওয়ার পর কারোর কোন অভিযোগ দেওয়া চলবে না। একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে এনএসসিও কিন্তু এক্সপার্ট (বিশেষজ্ঞ) না। একেক জায়গায় একেক রকম চাহিদা। নির্দিষ্ট ফেডারেশনই ভালো বলতে পারবে তাদের চাওয়াটা আসলে কী। এ কারণে সংশ্লিষ্ট ফেডারেশন কর্মকর্তাদেরও আরও সম্পৃক্ত হতে হবে।”
এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে সংস্কার কাজ শেষের তাগিদ দেন নাজমুল। কেনোভাবেই আর সময় বাড়ানো হবে না বলে কড়া বার্তাও দেন তিনি।
“এখন পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সংস্কার কাজ শেষ করার সময়সীমা হচ্ছে ডিসেম্বর পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলো করা যায় কি-না, আমরা সে চেষ্টাই করব। এখানে এমন কিছু করা যাবে না, যেটা দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলই খেলা সম্ভব হয় না।”
সংস্কার পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ। সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বসতি আর্কিটেক্টের প্রতিনিধি হয়ে স্টেডিয়ামে এসেছিলেন প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান।