সোমবার ভারতের ভুবানেশ্বরের কালিঞ্জা স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে ড্র করলেই পরবর্তী রাউন্ডে জায়গা করে নিতে পারতো বসুন্ধরা কিংস। কিন্তু ম্যাচের প্রথমার্ধে যোগ করা সময়ে রেফারির অবিশ্বাস্য এক সিদ্ধান্তে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচের অর্ধেক সময় ১০ জন নিয়ে খেলে আর পেরে উঠেনি বাংলাদেশ লিগের চ্যাম্পিয়নরা।
ফলে উড়িষ্যা এফসির কাছে ০-১ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় বসুন্ধরা কিংস।
গতকাল খেলার দিন প্রথমার্ধে সুবিধা করে উঠতে পারেনি কোনো দলই। বল দখলের লড়াইয়ে ৫৬ শতাংশ সময় বল দখলে যদিও কিছুটা এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরা।। শট নেয় ৪টি। বসুন্ধরা নিতে পারে ৩টি। তবে প্রথমার্ধের একমাত্র অনটার্গেট শটটি নেন রাকিব। প্রথমার্ধের লড়াইয়ে তেমন কিছু না হলেও যোগ করা সময়ে সব আলো কেড়ে নেন ভিয়েতনামের রেফারি এনগো ডুই লান। আহমেদ জাহুয়াহকে ফাউল করায় আসরর গাফুরভকে সরাসরি লাল কার্ড দেখান তিনি। অথচ ফাউল তেমন গুরুতর ছিল না। সর্বোচ্চ হলুদ কার্ড হতে পারতো। শুধু তাই নয়, প্রতিবাদ করায় কোচ অস্কার ব্রুজানকেও হলুদ কার্ড দেখান রেফারি।
১০ জনের দল নিয়ে খেলা বসুন্ধরা দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই চাপে থাকে উড়িষ্যার কাছে। তবে ধারার বিপরীতে ৫৫তম মিনিটে গোল করার মতো দারুণ এক সুযোগ পেয়েছিলেন দোরিয়েলতন। ফাঁকায় বলে পেয়ে পেয়ে সামনে থেকে শট না নিয়ে কিছুটা দুরূহ কোণে চলে যান। সেখান থেকে লক্ষ্যেই শট নিতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান। দুই মিনিট পর খাওলরিং লালথাথাঙ্গার শট লাফিয়ে ধরেন মেহেদী হাসান শ্রাবণ। ৬০তম মিনিটে আবারও দুর্দান্ত বসুন্ধরা গোলরক্ষক শ্রাবণ দারুণ এক সেভ করেন। রয় কৃষ্ণার শট দারুণ দক্ষতায় আটকে দেন তিনি। তবে জাহুয়াহর নেওয়া সেই কর্নার থেকে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন মুর্তাদা সারজিন ফল।
৭৩তম মিনিটে আরও একটি দারুণ সেভ করেন শ্রাবণ। দিয়াগো মাউরিসিওর শট ঠেকান। পরের মিনিটে আবারও রয় কৃষ্ণাকে হতাশ করেন এই গোলরক্ষক। এরপর শেষ দিকে গোল শোধে কিছুটা চেষ্টা চালালেও লাভ হয়নি সফরকারীদের। হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বসুন্ধরাকে।