মিরপুর টেস্টের আগে সংবাদ সম্মেলনে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে
আগামীকাল বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের দ্বিতীয় এবং শেষ ম্যাচে মাঠে নামবে টাইগাররা। প্রথম ম্যাচ জেতা আত্মবিশ্বাসী টাইগাররা সিরিজ জয়ের স্বপ্নে বিভোর। মিরপুর এই ম্যাচের ভ্যানু হওয়ায় ম্যাচের একাদশ নিয়ে কৌতূহল রয়েছে সবার। সিলেটে কন্ডিশন বুঝে একাদশের সমন্বয় ঠিক করে সাফল্য আনতে পেরেছে বাংলাদেশ। মিরপুরে একই তরিকায় হেঁটে ফল মিলবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত নন বাংলাদেশের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে। মিরপুরে কয়েক সেশন খেলার আগে বোঝাই যায় না উইকেটের আচরণ কেমন হতে পারে! ম্যাচের আগের দিন আজ মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে ঠিক এমনটাই বলেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।
মিরপুর ঐতিহ্যগতভাবেই স্পিনারদের স্বর্গ। এখানে টেস্টে পেসার ছাড়াও খেলার একাধিক নজির আছে বাংলাদেশের। অতি টার্নিং, মন্থর আর উঁচু-নিচু বাউন্সের কারণে ব্যাটসমেনদের কাজ এখানে বরাবরই বেশ কঠিন। তবে মিরপুরে সর্বশেষ আফগানিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ভিন্ন এক ধরণের উইকেটের দেখা মিলেছিলো। এবার উপমহাদেশের বাইরের দল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘূর্ণি উইকেটই প্রত্যাশিত। তাই আগের টেস্টের মত তিন স্পিনার আর এক পেসারের সমন্বয় নিয়ে নামবে কিনা বাংলাদেশ? সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে মিরপুরের উইকেট নিয়ে নিজেদের অস্পষ্টতা জানিয়ে দিলেন হাথুরুসিংহে, ‘এটা পিচের অবস্থার ওপর নির্ভর করবে। আর অবশ্যই আমাদের শক্তিমত্তার ওপরও। যেমনটা আপনি বললেন, সিলেটে আমরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি। ৫ দিনের প্রতিটিতেই আমরা আধিপত্য বিস্তার করেছি। ভালোভাবে লড়াই করেছি। সেখানেও আমরা আমাদের শক্তি আর সিলেটের কন্ডিশনের ওপর ভিত্তি করেই দলটা বানিয়েছিলাম। আর মিরপুরের কথা আপনি জানেন, কখনো কখনো মাঠে নামার আগে আপনি বুঝবেন না পিচ কেমন আচরণ করতে যাচ্ছে, এমনকি কয়েকটা সেশন না খেললে বোঝা যায় না (উইকেট কেমন)। যেহেতু এখানে অনেক বেশি খেলা হয়… আমার মনে হয় না বিশ্বের আর কোনো মাঠে এত বেশি খেলা হয়, যতটা এই মাঠে হয়ে থাকে। তো আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে।’
হোম অফ ক্রিকেটে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে হাথুরু আরো বলেন, বেশি তথ্য দিতে চাই না। নিউজিল্যান্ড হয়তো শুনবে। উইকেটের ওপর নির্ভর করবে, ওদের সীমাবদ্ধতার ওপরও। সিলেটে একাদশ সাজিয়েছি সেখানকার কন্ডিশন অনুযায়ী। মিরপুরে না খেলা পর্যন্ত প্রেডিক্ট করা মুশকিল।