দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে স্মরণীয় জয় পেলো টাইগ্রেসরা
তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে স্বাগতিক দক্ষিণ-আফ্রিকাকে ১৩ রানে হারিয়ে এক স্মরণীয় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২ ম্যাচে বাংলাদেশের নারীদের এটি দ্বিতীয় জয় তবে আফ্রিকার মাঠে প্রথম। এর আগে ২০১২ সালে মিরপুরে প্রোটিয়া নারীদের সঙ্গে ৭ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ।
রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিনের উইলোমুর পার্কে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে বাংলাদেশ। দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও মুর্শিদা খাতুন উদ্বোধনী জুটিতে ৬.৫ ওভারে ৪৪ রানের জুটি গড়েন। নন্দুমিসো শাঙ্গাজির বলে শামীমা ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরার আগে ২৪ বলে ৪টি চার আর এক ছক্কায় ২৪ রান করেন। শামীমা ফেরার পর সোবহানা মোস্তারিকে নিয়ে মুর্শিদা যোগ করেন আরও ৩৯ রান। ১৭ বলে ১৬ রান করে সোবহানা এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরলে ভাঙে সে জুটি, তবে বাংলাদেশ পায় শক্ত ভিত। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে সঙ্গে নিয়ে ফের ৬৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন ওপেনার মুর্শিদা খাতুন। তার দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে ২০ ওভার শেষে ২ উইকেটে ১৪৯ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ। দলের হয়ে ৫৯ বলে ৬টি চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬২ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন মুর্শিদা খাতুন। ২১ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৩৪ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন অধিনায়ক নিগার সুলতান।
১৫০ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বিধ্বংসী সূচনা করে দক্ষিণ আফ্রিকাও। উদ্বোধনী জুটিতে ৯.৩ ওভারে ৬৯ রান করে দলকে জয়ের পথে নিয়ে যান দুই ওপেনার অ্যানেকে বোশ আর অধিনায়ক তাজমিন ব্রিটিশ। তাদের এই জুটির ভাঙ্গেন রাবেয়া খান। ২৬ বলে তিন চার আর এক ছক্কায় ৩০ রান করে ফেরেন তাজমিন। এরপর মাত্র ৩ রানের ব্যবধানে অ্যানেরি ডারকসেনকে ফেরান ফাতেমা খাতুন। তখন ২ উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ছিল ৭২ রান। জয়ের জন্য শেষ ৫৬ বলে প্রোটিয়া নারীদের প্রয়োজন ছিল ৭৮ রান। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকা শিবিরে একের পর এক আঘাত হানেন লেগ স্পিনার স্বর্ণ আক্তার। তার স্পিনে বিভ্রান্ত হয়ে পরের ৬০ রানে ৬ উইকেট হারায় প্রোটিয়া নারী দলটি। এই ৬ উইকেটের মধ্যে ৫টি নেন স্বর্ণা আক্তার। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪৯ বলে ৯টি চার আর এক ছক্কায় সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওপেনার অ্যানেকে বোশ। স্বর্ণা আক্তার ৪ ওভারে ২৮ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন।
আগামী বুধ ও শুক্রবার কিম্বারলিতে সিরিজের দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ১২, ১৬ ও ২০ ডিসেম্বর তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে মুখোমুখি হবে দুই দল।