স্বাগতিকদের ৬ উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মত বিশ্বসেরা অজিরা
১৩তম ক্রিকেট বিশ্বকাপ ফাইনালের আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স বলেছিলেন, ‘আমি মনে করি, আপনাকে এটা সামলাতে হবে। নিশ্চিত করেই দর্শক থাকবে একপেশে। কিন্তু খেলায় তো এমন বিপুলসংখ্যক সমর্থকদের চুপ করিয়ে দেওয়ার চেয়ে সন্তুষ্টির আর কিছু হতে পারে না। আমাদের আগামীকালের লক্ষ্য এটাই।’ কামিন্স এরপর ভারতের সমর্থকদের সামলানোর বিষয়ে বলেছিলেন দেশটিতে খেলার পূর্ব অভিজ্ঞতার কথা, ‘ভারতে আমরা অনেক খেলি। তাই দর্শকদের চিৎকার আমাদের কাছে নতুন কিছু নয়। আমি মনে করি, এবার হয়তো আগের চেয়ে একটু বেশিই হবে। তবে এটা এমন কিছু নয় যে যেটার মুখোমুখি আমরা আগে হইনি।’
ঠিক তেমন টাই করেছেন ফাইনালে অজি অধিনায়ক, প্রায় ১৪৩ কোটি দেশবাসীকে হতাশ করে ষষ্ঠবারের মত বিশ্বকাপের শিরোপাটা নিজেদের ঘরে নিয়ে গেছে অস্ট্রেলিয়া। আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রোববার এক লাখ ৩২ হাজার দর্শকের মহাসমুদ্র স্তব্ধ করে অপ্রতিরোধ্য ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এই জয় পায় তারা।
ফাইনালে টসে হেরে আগে ব্যাট করে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ২৪০ রানে অলআউট হয় ভারত। মন্থর উইকেটে ২৪১ রান তবু ছিল না সহজ, রাতের আলোয় বল সুইং করবে শুরুতে, সেটা হয়ও। আগ্রাসী শুরুর মধ্যে জাসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামির তোপে ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে কেঁপে ওঠে অজিরা। কিন্তু ওপেনার ট্রাভিস হেড প্রবল চাপের মধ্যে থেকেও ৫ নাম্বারে ব্যাট করতে নামা মার্নাস লাবুশেনকে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে ২১৫ বলে ১৯২ রান করে দলকে জয়ের দুয়ারে নিয়ে যান। ৫৮ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর কুলদীপ যাদবের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ৯৫ বলে হেড সেঞ্চুরিতে পৌঁছাতে ভারতীয় দর্শকরাও দাঁড়িয়ে যান। তালি দিয়ে তারা অভিনন্দিত করেন অজি বীরকে। ২০০৭ বিশ্বকাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকানো ওপেনার অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে মনে করিয়ে দেন যেন তিনি। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০৪ বলে ১৪৯ রান করেছিলেন গিলক্রিস্ট। সহায়ক ভূমিকায় থাকা মার্নাস লাবুশেন টেস্ট মেজাজে করেন ১১০ বলে অপরাজিত ৫৮ রান। চোটের কারণে পাঁচ ম্যাচ বাইরে থাকা হেডের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়েই শিরোপা উঠল অস্ট্রেলিয়ার হাতে।