নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে বিশ্বকাপের ফাইনালে ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তান
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ
সালটা ১৯৯২! সে বার ডুবন্ত তরীকে উদ্ধার করে ইমরান খানের নেতৃত্বে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল পাকিস্তান। এইবার সালটা ২০২২। ৩০ বছর আগের সেই স্মৃতি কি পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে ম্যান ইন গ্রিনরা ?
এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খাদের কিনারে ছিল বাবর আজম এন্ড কোং। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে আজ সেমিফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে মেলবোর্নে এক পা দিয়ে রাখল পাকিস্তান। বাবর-রিজওয়ানের অর্ধ শতকে ব্ল্যাক ক্যাপ্সদের ৭ উইকেটে হারাল তাঁরা।
সুপার টুয়েলভে গ্রুপ সেরা হয়ে সেমিফাইনালে পা রাখা নিউজিল্যান্ড; এ দিন টসে জিতে ব্য়াটিংয়ের সিদ্ধন্ত নেয়। কিউই কাপ্তান কেন উইলিয়ামসনের লক্ষ্য ছিল বড় একটা টার্গেট দাঁড় করানো। কিন্তু ইনিংসের প্রথম ওভারেই ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন শাহিন আফ্রিদি।
অনবদ্য থ্রোয়ে আর এক ওপেনার ডেভন কনওয়েকে রান আউট করেন শাদাব খান। কেন উইলিয়ামসন ৪৬ রান করেন। পাক পেস অ্যাটাকের সামনে কচ্ছপ গতিতে রান তুলে নিউজিল্যান্ডের ব্যাটাররা। তবে কিছুটা গতি দিয়ে ড্যারেল মিচেলের ৩৫ বলে ৫৩ রানের সৌজন্যে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৫২ রান তোলে ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
জবাব দিতে নেমে এই লক্ষ্যকে মোটামুটি মামুলি বানিয়ে ফেলেন পাক দুই ওপেনার। বাবর-রিজওয়ান দু-জনই অর্ধশতক হাঁকান। তৃতীয়বারের মতো এই জুটি শতরান পূর্ণ করেন। রিজওয়ান ৫৭ এবং বাবর ৫৩ রান করেন। মুহাম্মদ হারিস করেন ৩০ রান। আর এতেই ৫ বল বাকি থাকতেই ৭ উইকেটে জয় তুলে নেয় পাকিস্তান।
সুপার টোয়েল্ভে প্রথম ম্যাচে জয়ের দোরগোড়া থেকে ভারতের কাছে হার। এমনকি জিম্বাবুয়ের কাছেও হার। এক পর্যায়ে সুপার ফোরে উঠা অনিশ্চয়তার দোলাচলে পড়ে যায়। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের কাছে দক্ষিণ আফ্রিকা হারতেই দরজা খুলে যায় পাকিস্তানের। বাংলাদেশকে হারালেই সেমিফাইনাল। সেটাই করেছিল পাকিস্তান। সেখান থেকে ধারাবাহিকতা বজায় রাখল ম্যান ইন গ্রিনরা।