প্রোটিয়াদের ৮৩ রানে গুটিয়ে সিরিজে সমতা ইংল্যান্ডের
কিংবদন্তি অলরাউন্ডার বেন স্টোকসের বিদায়ী ওয়ানডে ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু বাঁচামরার ম্যাচে এসে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ালো স্বাগতিকরা।
বৃষ্টিবিঘ্নিত দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২০১ রান করেও ইংল্যান্ডের জয় ১১৮ রানে। ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা গুঁড়িয়ে যায় মাত্র ৮৩ রানে। তিন ম্যাচের সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
ওল্ড ট্রাফোর্ডে বৃষ্টির কারণে ম্যাচটি নেমে এসেছিল ২৯ ওভারে। ম্যাচটিতে প্রথমে ব্যাট করে ২৮.১ ওভারে ২০১ রানে অলআউট হয় ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় ওভারে দলীয় ২২ রানে বিদায় নেন জেসন রয়। অ্যানিরখ নরকিয়ার বলে আউট হন তিনি। ১০ বলে ১৭ রান করে ডুয়াইন প্রিটোরিয়াসের শিকার হন ফিলিপ সল্ট।
জস বাটলার ও লিয়াম লিভিংস্টোন ষষ্ঠ উইকেটে ২৯ রানের জুটি গড়েন। ২৭ বলে ১৯ রান করে তাবরাইজ শামসির বলে আউট হন ইংলিশ অধিনায়ক বাটলার। সপ্তম উইকেটে লিভিংস্টোন ও স্যাম কারানের কল্যাণে আসে ৪৩ রান।
শেষপর্যন্ত লিভিংস্টোনের দলীয় সর্বোচ্চ ৩৮ রানে ২০১ রানে থামে ইংল্যান্ড। আফ্রিকার হয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৩৬ রানে ৪ উইকেট নেন প্রিটোরিয়াস।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২৭ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে মহাবিপদে পরে প্রোটিয়ারা। রিস টপলি একই ওভারে ফিরিয়ে দেন ইয়ানেমান মালান ও আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান রাসি ফন ডার ডাসেনকে। ডেভিড উইলির পরের ওভারে ক্যাচ দেন কুইন্টন ডি কক, আর এইডেন মারক্রাম কাটা পড়েন রান আউটে। ডেভিড মিলারকেও ১২ রানে বোল্ড করেন কুরান।
শেষ পর্যন্ত ২০.৪ ওভারেই ৮৩ রানে গুটিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। হেনরিক ক্লাসেন ৪০ বল খেলে ৩৩ রান না করলে আরও বড় লজ্জায় পড়তে হতো সফরকারীদের। ইংলিশ বোলারদের মধ্যে আদিল রশিদ নেন ৩ উইকেট। দুটি করে উইকেট মঈন আলি আর রিস টপলির।