প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অবধারিত হার টাইগারদের
অ্যান্টিগা টেস্টে প্রথম ইনিংসে ব্যাটারদের চরম ব্যর্থতায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে হারলো বাংলাদেশ দল। পাঁচ দিনের টেস্টে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই টাইগারদের বিপক্ষে ৭ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে ক্যারিবীয়রা।
অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ক্যারিবীয় পেসারদের তোপের মুখে পড়ে টাইগার ব্যাটাররা। টপ অর্ডার ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারালেও শেষ পর্যন্ত অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের হার না মানা ফিফটিতে নিজেদের প্রথম ইনিংস ১০৩ রানে থামে বাংলাদেশ দল।
বিপরীতে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রেথওয়েট ও ব্ল্যাকউড ব্যাটে স্কোরবোর্ডে ২৬৫ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিরীয়দের হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৯ চারে ২৬৮ বলে ৯৪ রান করেন ব্রেথওয়েট। এছাড়া ব্ল্যাকউডের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান। অন্যদিকে টাইগার হয়ে চার উইকেট নেন স্পিনার মেহেদী হাসান ও ২টি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ ও ইবাদত হোসেন।
এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬২ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে শুরুতে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েও মাত্র ২২ রানে সাজ ঘরে ফিরেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এদিকে ব্যর্থতার বৃত্তে আটকে থাকা দুই বাঁহাতি ব্যাটার নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুমিনুল হককে সাজঘরে ফিরেন কাইল মায়ার্স বলে আউট হয়ে। প্রথম ইনিংসের মত দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে লড়াই করেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। যদিও এক্ষেত্রে উইকেট-রক্ষক ব্যাটার সোহানও ছিলো তার সঙ্গে।
ব্যক্তিগত ৬৩ রানে সাকিব ও ৬৪ রানে সোহান সাজ ঘরে ফিরলে দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৪৫ রান। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় মাত্র ৮৮ রান। এমন অবস্থায় ম্যাচ বাঁচাতে যদিও টাইগার পেসার খালেদ আহমেদ কিছুটা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করলেও তাতে কিছুটা লাভ হয়নি বলা চলে। কেননা ৯ রানে ৩ উইকেট হারানো শেষ পযর্ন্ত বাকি ৭ উইকেট হাতে রেখেই হেসে খেলেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় তারা।
সাড়ে ৪ সেশনের বেশি সময় হাতে রেখে পাওয়া এই ৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধামে এগিয়ে গেল উইন্ডিজ।