ম্যান সিটিকে বিদায় করে ফাইনালে রিয়াল
শেষ মূহুর্তের রোমাঞ্চে ম্যানচেস্টার সিটিকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ। সেমি-ফাইনালের দ্বিতীয় লেগে ৮৯ মিনিট পর্যন্তও ১-০ গোলে, দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৩ গোলে এগিয়ে থেকে ফাইনালের প্রহর গুনতে থাকা ম্যানসিটির স্বপ্ন ভঙ্গ রদ্রিগোর দুই মিনিটের দুই গোলে। এরপর অতিরিক্ত সময়ে পেনাল্টিতে করিম বেনজেমার গোলে দুই লেগ মিলিয়ে ৬-৫ গোলে জিতে ফাইনালে কার্লো আনচেলত্তির দল।
এর আগে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে প্রথম লেগে সাত গোলের রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে ৪-৩ গোলে জিতেছিল সিটি। ব্যবধান বড় না হওয়ায় রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা তাই ছিলই।
এরপর দ্বিতীয় লেগে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ম্যাচের প্রথমার্ধে গোল শূন্য ব্যবধানে দুই দল মাঠ ছাড়লেও, দ্বিতীয়ার্ধে ৭৩ মিনিটে বক্সের ডান দিক থেকে সিটির উইঙ্গার রিয়াদ মাহরেজের দারুণ শটে এগিয়ে যায় পেপ গার্দিওলা দল।
ডুবতে থাকা রিয়ালের ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প শুরু এরপরই। ম্যাচের ৯০ মিনিটে বেনজেমার দুর্দান্ত ক্রসে বদলি নামা ব্রাজিলিয়ান তরুণ রদ্রিগো টার্চে ব্যবধান কমায় রিয়াল মাদ্রিদ। এর ঠিক এক মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে কারভাহালের ক্রসে হেডে নিজের দ্বিতীয় গোলে রিয়ালকে সমতায় ফেরান সেই রদ্রিগোই।
এরপর পেন্ডুলামের মতো ঘুরতে থাকা ম্যাচে রিয়ালের হয়ে কফিনের শেষ পেরেকটি ঠুকেন করিম বেনজেমা। অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই বক্সে রুবেন দিয়াসের ফাউলে পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। তাতেই ৯৫তম মিনিটে সফল স্পট কিকে রিয়ালকে এগিয়ে নেন বেনজেমা। বার্নাব্যুর ফিরতি লেগটা ৩-১ গোলে জিতে ফাইনালে পা রাখলো কার্লো আনচেলত্তির দল। দুই লেগ মিলে স্কোরটা ছিল (৬-৫)।
ইউরোপের সর্বোচ্চ ক্লাব আসরের ফাইনালে রিয়ালের প্রতিপক্ষ লিভারপুল। আগামী ২৯ মে শিরোপা নির্ধারনী ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে ফ্রান্সের প্যারিসে।