বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) ফরচুন বরিশালকে ৯৫ রানে অলআউট করে ৬৩ রানের বিশাল জয় পেল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। আগে ব্যাট করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ইমরুল কায়েসের দল। জবাবে নাহিদুলের স্পিন ভেলকিতে মাত্র ৯৫ রানে থামে সাকিব আল হাসানের দল।
মিরপুরে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে অভিষিক্ত মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে শুরুটা ভালোই করে কুমিল্লা। ছক্কা মেরে রানের খাতা খোলা জয় এদিনে খেলে ৩৫ বলে ৪৮ রানের দুদার্ন্ত এক ইনিংস। এরপর দলীয় ৩৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভেঙে সাজ ঘরে ফিরেন ক্যামেরন ডেলপোর্ট।
এরপর তিনে নামা কুমিল্লার তারকা ব্যাটার ফাফ ডু প্লেসি এদিনেও ছিলেন ছন্নছাড়া। থিতু হওয়ার আগেই তাঁকে বিদায় করেন সাকিব আল হাসান। ১১ বল মোকবিলা করে ৬ রান করেন প্রোটিয়া তারকা। ফফের পর ইমরুল ও মমিনুল কেউই তেমন সুবিধা করতে না পারলেও শেষ দিকে আফগান ব্যাটার করিম জান্নাতের ১৬ বলে তিন ছক্কা ও এক চারের ২৯ রানের ঝড়ো ইনিংসে ১৫৮ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে রানের খাতা খোলার আগেই শুরুতেই সাজ ঘরে ফিরেন সৈকত আলী। দুইয়ে নামা সাকিবও ফিরেন মাত্র ১ রান করে। দলীয় ৭ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া বরিশালে হাল ধরলে ধীর গতির ব্যাটিং শুরু করে নাজমুল হোসেন শান্ত। তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে দলের হাল ধরার চেষ্টা চালালেও শেষ রক্ষা হয়নি তাদের। ১৪ বলে ১৯ রান করে করিম জান্নাতের বলে বোল্ড হয়ে সাজ ফিরেন তৌহিদ।
তৌহিদের বিদায়ের পর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ফরচুন বরিশাল। শান্ত, তৌহিদ, সোহান ছাড়া আর কেউই দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে না পারায় ১৭.৩ ওভারে দলীয় ৯৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় সাকিব আল হাসানের দল। কুমিল্লার হয়ে ৩টি উইকেট শিকার করেন নাহিদুল ইসলাম।