ছন্নছাড়া ব্যাটিংয়ে বিপদে বাংলাদেশ
বৃষ্টি বাধায় গত দুইদিনের খেলা তেমন মাঠে না গড়ালেও , চতুর্থ দিনে খেলায় ফের ব্যাটিং লজ্জায় বাংলাদেশ।
এর আগে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনের এবাদত হোসেন ও খালেদ আহমেদ এর দাপুটে বোলিং শুরুতেই সাজ ঘরে ফিরেন আজহার আলী ও পাকিস্তান দলপতি বাবর আজম। তবে ফের ব্যাটিং দৃঢ়তা দেখিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ব্যাট হাতে রীতিমতো শাসন করতে থাকেন দুই পাকিস্তানি ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ রিজওয়ান এবং ফাওয়াদ আলম।
এরপর রিজওনাল ও ফাওয়াদ আলমের জোড়া ফিফটিতে দলীয় ৩০০ রানে নিজেদের প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে পাকিস্তান দল। অন্যদিকে টাইগারদের হয়ে তাইজুল ইসলাম শিকার করে ২টি উইকেট ও একটি করে উইকেট নেন দুই পেসার এবাদত ও খালেদ।
জবাবে প্রথম ইনিংসের ব্যাট করতে নেমে রীতিমতো অসহায় বাংলাদেশ। ৭৬ রান করেছে ৭ উইকেট হারিয়ে, ২৬ ওভার। ফলো অন লজ্জা এড়াতে চাইলে টাইগারদের প্রয়োজন আরো ২৫ রান। বাংলাদেশের হয়ে দুই অংকের কোটা স্পর্শ করেছে মাত্র দুইজন ক্রিকেটার। যার মধ্যে ৩০ রান করে সাজ ঘরে ফিরেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও ২৩ রান করে এখনো অপরাজিত আছেন সাকিব আল হাসান।
দিনের দ্বিতীয় সেশনে ব্যাট করতে নেমে পাক বোলার সাজিদ খানের দুর্দান্ত বোলিংয়ে তোপে শুরুতেই চাপে পড়ে টাইগার ব্যাটারা। দলীয় ১ রানেই অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমে শূন্য রানেই আউট মাহমুদুল হাসান জয়। এরপর আরেক ওপেনার সাদমান ইসলামও তেমন কোন সুবিধা করতে পারেনি। সাদমানের বিদায়ের পর থেকে নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করে বাংলাদেশ দল। এরপর আলোর স্বল্পতায় একঘণ্টা আগে শেষ হয়ে যাওয়ায় অল-আউটের লজ্জা থেকে রক্ষা পায় বাংলাদেশ দল। অন্যদিকে বল হাতে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং উপহার দেন পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাজিদ খান। তুলে নেন প্রথমবারের মতো ৬ উইকেট।
স্কোর:
পাকিস্তান ১ম ইনিংস: ৯৮.৩ ওভারে ৩০০/৪, (বাবর ৭৬, আজহার ৫৬, রিজওনাল ৫৩*; তাইজুল ২/৭৩)
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ২৬ ওভারে ৭৬/৭, (শান্ত ৩০, সাকিব ২৩*; সাজিদ ৬/৩৫)