না ফেরার দেশে চলে গেলেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার হিউ মরিস
ইংল্যান্ড ও গ্ল্যামরগানের সাবেক ক্রিকেটার এবং ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) সাবেক প্রধান নির্বাহী হিউ মরিস আর নেই। ৬২ বছর বয়সে তিনি মারা গেছেন।
তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মহল।
২০২২ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন হিউ মরিস। সে বছর চিকিৎসার মধ্যেও তিনি কাজে ফিরে আসেন।
তবে বেশিদিন দায়িত্ব পালন করতে পারেননি তিনি।
শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে গ্ল্যামরগ্যানের প্রধান নির্বাহী পদ থেকে সরে দাঁড়ান। সে সময় তিনি জানিয়েছিলেন, চিকিৎসা ও পরিবারকে সময় দিতেই এই সিদ্ধান্ত।
ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মরিস ছিলেন আক্রমণাত্মক ব্যাটার।
কাউন্টি ক্রিকেটে গ্ল্যামরগ্যানের অধিনায়ক হিসেবে দুটি ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তিনি। ১৯৯৩ সালে নেতৃত্ব দিয়ে সানডে লিগ শিরোপা জিতেছিলেন মরিস।
ইংল্যান্ড জাতীয় দলের হয়ে তিনটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন মরিস। ১৯৯১ সালের ২৫ জুলাই ইংল্যান্ডের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয় তাঁর।
তিন টেস্টে ১১৫ রান করেন তিনি, সর্বোচ্চ ইনিংস ৪৫ রান। আর ১৯.১৬ গড়ে তিনি খেলেছেন ৩৬.১৬ স্ট্রাইক রেটে।
ইংল্যান্ড ‘এ’ দলের হয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও শ্রীলঙ্কা সফরে দলকে নেতৃত্বও দিয়েছেন এই সাবেক ক্রিকেটার।
ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ইসিবি বিভিন্ন উচ্চ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন হিউ মরিস। প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে অস্ট্রেলিয়াকে তিনবার অ্যাশেজ সিরিজে পরাজিত করে ইংল্যান্ড।
গ্লামরগানের বর্তমান প্রধান নির্বাহী ড্যান চেরি মরিসের স্মৃতিচারণ করে বলেন,
“গ্লামরগান ক্রিকেটের ইতিহাসে হিউ এক অনন্য নাম। মাঠের ভেতরে ও বাইরে তাঁর অবদান ক্লাবের সমর্থকদের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছে। তিনি ছিলেন অসাধারণ উদ্যমী একজন মানুষ এবং প্রকৃত ভদ্রলোক। তাঁর কীর্তিগুলো ক্লাবের রেকর্ড বইয়ে বহুদিন উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। আমার মনে হয় না, কোনো কাউন্টি দলের কোনো ব্যাটসম্যান কখনও এক মৌসুমে হিউর করা ২,২৭৬টি প্রথম-শ্রেণির রানের রেকর্ড ছুঁতে পারবে।”
ক্রিকেটার ও প্রশাসক—দুই ভূমিকাতেই ইংলিশ ক্রিকেটে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেলেন হিউ মরিস।

