খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শুক্রবার, ১লা আগস্ট ২০২৫

চট্টগ্রামে হামজাদের ম্যাচ, এনএসসির দিকে তাকিয়ে বাফুফে

আগামী ৯ অক্টোবর নিজেদের মাঠে হংকং এর বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ দল। সে ম্যাচটি চট্টগ্রামে আয়োজন করতে চায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন। যার জন্য এনএসসির দিকে তাকিয়ে বাফুফে। 

দেশের মাটিতে দেশের হয়ে অভিষেক হয়ে গেছে আলোচিত ফুটবলার হামজা চৌধুরীর। একই সাথে মাঠে নেমে গেছেন ফাহমিদুলও। অপেক্ষায় রয়েছেন সমিত সোম।
আগামী ১০ জুন এশিয়া কাপ বাছাই পর্বের হোম ম্যাচে নিজেদের মাঠে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে মাঠে নামার সম্ভাবনা এই তিন জনেরই।

অক্টোবরে নিজেদের মাঠে হংকং এর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে অবশ্য চট্টগ্রামে আরো দুটি টুর্নামেন্ট আয়োজনের চিন্তা রয়েছে বাফুফের ।

সে টুর্নামেন্ট দুটি হচ্ছে সাফ অনূর্ধ্ব–২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ। যা অনুষ্ঠিত হবে ১১ হতে ২১ জুলাই। আরেকটি হচ্ছে এএফসি অনূর্ধ্ব–২০ নারী এশিয়া কাপ।

এসব টুর্নামেন্ট আয়োজনের জণ্য গত ২০ মে থেকে চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামের কাজ বাফুফের শুরুর করার কথা থাকলেও সেটা শুরু হয়নি।

তবে চট্টগ্রামের মানুষ নিজেদের মাঠে বসে হামজাদের ম্যাচ দেখতে পারবে কিনা সেটা এখন নির্ভর করছে এনএসসির (জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ) উপর।
কারণ, স্টেডিয়ামের যে সংষ্কার কাজ রয়েছে তার মধ্যে সবচাইতে বড় এবং গুরুত্বপূর্ন যেটি তা হচ্ছে ফ্লাড লাইট।

সে ফ্লাড লাইটের কাজ করতে হবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদকে।

আর বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন করবে মাঠ, ড্রেসিং রুম এবং গ্যালারীতে চেয়ার বসানোর কাজ।
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ সভাপতি ফাহাদ করিম জানিয়েছেন তাদের কাজ হচ্ছে মাঠ, গ্যালারী এবং অন্যান্য গুলো। ফ্লা্‌ড লাইটের কাজ করবে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

তিনি জানান এনএসসিকে একাধিকবার চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন সদুত্তর মেলেনি।

তবে বাফুফের আরেকটি সুত্র জানিয়েছে, ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ মৌখিকভাবে চট্টগ্রাম এবং রাজশাহী স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছেন।

চট্টগ্রামে হামজাদের ম্যাচ, এনএসসির দিকে তাকিয়ে বাফুফে

জানা গেছে গত ৩০ মে আমিনুল ইসলাম বুলবুল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পরদিন ক্রীড়া উপদেষ্টার সাথে দেখা করেন বিসিবি সভাপতি এবং পরিচালকরা।
সেখানে বিসিবি পরিচালক মনজুর আলম মঞ্জু চট্টগ্রাম স্টেডিয়ামের ফ্লাড লাইটের ব্যাপারে ক্রীড়া উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ক্রীড়া উপদেষ্টা সচিবকে বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখতে বলেন।

তবে যা সময় রয়েছে তাতে পুরো স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করে আদৌ খেলাগুলো আয়োজন করা যাবে কিনা সেটা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
কারন সময় যা হাতে আছে তা কতটা সম্ভব হবে সে বিষয়ে সংশয় রয়েই যাচ্ছে।

তবে বাফুফে সহ সভাপতি ফাহাদ করিম জানান,

‘চট্টগ্রামের একজন মানুষ হিসেবে আমি বরাবরই চাইছি চট্টগ্রামে যেন বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ এবং টুর্নামেন্ট হয়। এবারেও সে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

চট্টগ্রাম জেলা স্টেডিয়ামকে ২৫ বছরের জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে বরাদ্দ দেওয়া নিয়ে বেশ আন্দোলন সংগ্রাম হয়েছে।
তবে বাফুফের সাথে চট্টগ্রামের মেয়র, জেলা প্রশাসক সহ ক্রীড়া সংগঠকদের এক সভায় সেখান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল বাফুফের কাছ থেকে।

এখন চট্টগ্রামের দর্শকরা নিজেদের মাঠে হামজা–সমিতদের ম্যাচ দেখতে পারবে কিনা তা সময়ই বলে দেবে।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy