রোমাঞ্চকর ম্যাচে টাইগারদের হার
শেষ ওভারের নাটকীয়তায় বাংলাদেশকে হারালো প্রোটিয়ারা।জয়ের জন্য শেষ ওভারে দরকার পড়ে ১১ রানের।তবে বাংলাদেশি ব্যাটারদের রুখে দিয়ে প্রোটিয়াদের জয় নিশ্চিত করে কেশভ মহারাজ।জয়ের কাছাকাছি গিয়েও খালি হাতে ফিরতো হলো টাইগারদের। ৪ রানে জয় পাওয়া ম্যাচে ৪৪ বলে ৪৬ রান করা হেনরিক ক্লাসেন ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেয়।
এইদিন নিউইয়র্কে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়ারা।তবে আগে ব্যাটিং করে মোটেও সুবিধা করতে পারেনি তারা।দারুণ শুরু করেন টাইগার পেসার তানজিম সাকিব।প্রথম ওভারেই প্যাভিলিয়নের পথ দেখান রেজা হেনড্রিক্সকে।তৃতীয় ওভারে ফিরলেন ডি কক।একে একে ফিরলেন ট্রিস্টান স্টাবস ও এডেন মার্করাম।প্রোটিয়াদের ব্যাটিং অর্ডার একাই ধসিয়ে দেন তানজিম সাকিব।
তবে এইদিন ত্রাতা হয়ে সাউথ আফ্রিকার দুই ব্যাটার হেনরি ক্লাসেন এবং ডেভিড মিলার।দুই ব্যাটার বেশ ঠান্ডা মাথায় খেলতে থাকেন।৭৯ রানের জুটি গড়েন এই দুই ব্যাটার।চাপের মুখে কোনোরকম ঝুঁকি না নিয়ে এগোতে থাকেন এই দুই ব্যাটার।তাদের পরিকল্পনা সফলও হয়েছে বলা যায়।তবে ১৮ তম ওভারে তাসকিনের আহমেদের বলে আউট হয়ে ফিরেন ক্লাসেন।সাজঘরে ফেরার আগে এই ব্যাটার খেলে ৪৬(৪৪বল) রানের অনবদ্য এক ইনিংস। পরের ওভারে ৩৮ বলে ২৯ করা ডেভিড মিলারকে ফিরায় রিশাদ হোসেন।শেষদিকে কেশভ মহারাজ ও মার্কো জানসেন কেউ রানের গতি বাড়াতে পারেননি।২০তম ওভারে মাত্র ৪ রান খরচ করেন মুস্তাফিজ। ২০ ওভারে প্রোটিয়াদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১১৩-৬ উইকেটে।
জবাবে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি টাইগারদের।২য় ওভারের রাবাদার শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন তানজিদ তামিম।এরপর আসা যাওয়া চলতে বাংলাদেশের ব্যাটারদের।একে একে ফেরেন লিটন,শান্ত ও সাকিব।এইদিনও ব্যাট হাতে ব্যর্থ সাকিব।দলীয় ৫০ রানেই ৪ উইকেট হারায় টাইগাররা।
সেখান থেকে জুটি গড়েন তৌহিদ হৃদয় এবং মাহমুদুল্লাহ। দু’জনে মিলে পঞ্চম উইকেটে ৪৪ রানে জুটি গড়েন। কিন্তু দুই ব্যাটারকেই ধীরে ধীরে খেলতে হয়েছে। ফলে একটা সময় আস্কিং রেট বাড়তে থাকে।তবে যতক্ষণ পর্যন্ত রিয়াদ ও হৃদয় খেলছিলো ম্যাচটা বাংলাদেশের নাগালেই ছিলো।তবে বিপত্তি বাধে ১৮তম ওভারের শুরুতে।দারুণ খেলতে থাকা হৃদয়কে লেগ বিফোরে ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরত পাঠান রাবাদা।আউট হওয়ার আগে ২ ছয় এবং ২ চারে এই ব্যাটার খেলেন ৩৭(৩৪বলে)রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস।হৃদয় বিদায় নিলেও তখনো পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার পরে ১১ রানের।শেষ ওভার বল করতে আসেন কেশব মহারাজ।ওয়াইড দিয়েই ওভার শুরু করেন কেশভ।২০তম ওভারের পঞ্চম বলটা সহজে ভুলতে পারবেন না মাহমুদুল্লাহ। কেশব মহারাজের ফুলটস বল সপাটে মেরেছিলেন তিনি। কিন্তু ব্যাটে-বলে সংযোগ ঠিক মতো হয়নি। তবু নিউ ইয়র্কের বড় মাঠ প্রায় পেরিয়ে গিয়েছিল সেটি। লং অন বাউন্ডারির একদম ধার থেকে দু’হাত বাড়িয়ে ছোঁ মেরে সেই বল ধরে নেন এডেন মার্করাম। সেখানেই শেষ হয়ে যায় বাংলাদেশের জয়ের স্বপ্ন।শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার পড়ে ৬ রানের।আবারো ফুলটস করেন কেশভ মহারাজ।তবে এইবারও সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় টাইগাররা। ফলে ৪ রানে এক কষ্টার্জিত জয় পায় প্রোটিয়ারা।