জিম্বাবুয়ের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দ্বিতীয় প্রবাসী হিসেবে ত্রিশতক আনন্দ নাকভির ব্যাটে
জিম্বাবুয়ের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট টুর্নামেন্ট লগান কাপের ম্যাচে অপরাজিত ৩০০ রানের ইনিংস উপহার দিয়েছেন নাকভি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তো বটেই, স্বীকৃত যে কোনো ধরনের ক্রিকেটেই জিম্বাবুয়ের প্রথম ট্রিপল সেঞ্চুরি এটি।
হারারাতে মাটাবেলেল্যান্ড টাস্কার্সের বিপক্ষে মিড ওয়েস্ট রাইনোজের হয়ে এই ইনিংসটি খেলেন নাকভি। প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে প্রথম ৭ ম্যাচে ৩টি সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছিলেন তিনি। অষ্টম ম্যাচেই ট্রিপল সেঞ্চুরির স্বাদ পেয়ে গেলেন ২৪ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।
ম্যাচের দ্বিতীয় দিনে দল ৮৪ রানে ২ উইকেট হারানোর পর ক্রিজে যান নাকভি। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শতরান পূরণ করেন ৯৯ বলে। সেখান থেকে দুইশ রানে যেতে একটু বেশি বল খেলেন তিনি। ক্যারিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি স্পর্শ করেন ২২১ বলে।পরের সময়টায় এগিয়ে যান তিনি ঝড়ের বেগে। ৩৮ বলেই করেন পরের পঞ্চাশ। দিন শেষ করেন ২৫০ রানে অপরাজিত থেকে।
অনেকগুলো রেকর্ডের হাতছানি তখন তার সামনে। লগান কাপে সর্বেচ্চ ২৬৫ রানের রেকর্ড সেফাস ঝুয়াওয়ের। জিম্বাবুয়ের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে রেকর্ড ২৭৯। সেই ১৯৬৭-৬৮ মৌসুমে দক্ষিণ আফ্রিকার কুরি কাপে রেকর্ডটি গড়েছিলেন রে গ্রিপার।
প্রতিনিধিত্বমূলক ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ ইনিংসের কীর্তি ব্রায়ান ডেভিসনের ২৯৯। লগান কাপেই ইনিংসটি খেলেছিলেন তিনি ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে। তবে তখন এই টুর্নামেন্টের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা ছিল না।
তৃতীয় দিনে শুক্রবার একে একে সবাইকে ছাড়িয়ে যান নাকভি। শেষ পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ত্রিশতকে পা রাখেন ২৯৫ বলে। ৪৪৪ মিনিট ক্রিজে কাটিয়ে ৩০ চার ও ১০ ছক্কায় অপরজিত থাকেন ২৯৫ বলে ৩০০ রান করে।
নাকভি অবশ্য জিম্বাবুয়েতে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড অল্পের জন্য যদিও ছুঁতে পারেননি। ২০০০-০১ মৌসুমে জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়ে ৩০৬ রানের ইনিংস খেলেছিলেন নিউজিল্যান্ডের মার্ক রিচার্ডসন। সেটা হয়তো সহজেই ছাড়িয়ে যেতে পারতেন তিনি। তবে ৩ উইকেটে ৫৩৮ রান করে ইনিংস ঘোষণা করেন রাইনোজের অধিনায়ক। আর সে অধিনায়ক তো তিনিই। তারা লিড নিয়েছিল ৪১০। এখন পর্যন্ত মাটাবেলেল্যান্ড টাস্কার্সের সংগ্রহ ৪ উইকেট ২০৬ রান।