অস্ট্রেলিয়ায় সদ্য সমাপ্ত সিরিজে হোয়াইটওয়াশড পাকিস্তান।
তিন টেস্টের সিরিজে সব কটি ম্যাচই হেরেছে মাসুদের দল। তিন বা এর চেয়ে বেশি টেস্টের সিরিজে এই নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার কাছে সপ্তমবারের মতো ধবলধোলাই হলো পাকিস্তান। এর মধ্যে ৬টিই অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। সব মিলিয়ে হেরেছে টানা ১৭টি টেস্ট।
সিডনিতে শুরুটা ভালো করে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসে লিড নেয় তারা। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতায় অস্ট্রেলিয়াকে দিতে পারেনি বড় রানের লক্ষ্য। ১৩০ রান তাড়ায় অনায়াসেই জয় তুলে নেয় স্বাগতিকরা।
এদিন ম্যাচ শেষে হাফিজের কণ্ঠে ঝরেছে উত্তরসূরিদের অনেক সুযোগ নষ্টের হতাশা। তবে দলের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিয়ে সামনে ভালো কিছুরই প্রত্যাশা করছেন তিনি।
“দল হিসেবে কিছু সুযোগ পেয়েছিলাম, যেগুলো কাজে লাগাতে পারিনি। বোধহয় ৩-০ তে হার আমাদের প্রাপ্য ছিল না। দল হিসেবে এই সিরিজে সত্যিই কিছু ভালো কাজ করেছি, কিন্তু ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো জিততে পারিনি, আর এই কারণেই ৩-০ তে হেরেছি। সিরিজটি আমরা হেরেছি, তবে খেলোয়াড়দের প্রতিভা দেখে বলতে পারছি, আমরা শুরু থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারি। এর কিছু ঝলকও আমরা দেখেছি।”
সিরিজ জুড়েই পাকিস্তানকে ভুগিয়েছে তাদের ফিল্ডিং, নির্দিষ্ট করে বললে স্লিপ ফিল্ডিং। সিডনিতেই যেমন, ডেভিড ওয়ার্নারের ক্যাচ ফেলেছেন প্রথম স্লিপে থাকা অভিষিক্ত সাইম আইয়ুব। পরে মিড-অফে মার্শের ক্যাচও ধরতে পারেননি তিনি। পার্থ ও মেলবোর্নেও এই দুই অস্ট্রেলিয়ানের ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি পাকিস্তানের ফিল্ডাররা।