মেসির রেকর্ড গোলের ম্যাচে বড় জয়ে প্লে–অফে মায়ামি
বয়সটাকে যেন স্রেফ সংখ্যা প্রমাণে মরিয়া লিওনেল মেসি! অবশ্য তাকে ঘিরে ২০২৬ বিশ্বকাপে যেখানে আর্জেন্টাইনদের পরিকল্পনা, সেখানে মাঠে তার পারফরম্যান্স তো লাগবেই।
ইন্টার মায়ামির জার্সিতে টানা দ্বিতীয় ম্যাচে জোড়া গোল করলেন এই আলবিসেলেস্তে মহাতারকা। মেসির রেকর্ড গোলে ভর করে নিউইয়র্ক সিটি এফসিকে ৪-০ গোলের বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়েছে মায়ামি।
ম্যাচের দুই অর্ধেই এমএলএসের ইতিহাসে নাম লেখান আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড।
৪৩ মিনিটে নিউইয়র্কের ডিফেন্স চেরা পাসে মায়ামির মিডফিল্ডার ব্যালটাজার রদ্রিগেজকে দিয়ে গোল করান মেসি।
এর মধ্য দিয়ে এমএলএসের ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে টানা দুই মৌসুমে অন্তত ৩৫ গোলে অবদান রাখলেন মেসি।
বিরতির পর ৭৪ ও ৮৬ মিনিটে করেন দারুণ দুটি গোল। এমএলএসের ইতিহাসে চতুর্থ খেলোয়াড় হিসেবে এক মৌসুমে আট ম্যাচে একাধিক গোল করলেন মেসি।
তাঁর জোড়া গোলের মাঝখানে ৮৩ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করেন মায়ামি ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেজ।
মেসির স্কোরশিটে প্রথম নাম তোলেন ৭৪ মিনিটে।
মাঝমাঠ থেকে বাড়ানো পাস কয়েকজনের মাঝে ফাঁকা জায়গা দিয়ে পেয়ে এক প্রতিপক্ষ ফুটবলারের বাধা টপকান মেসি।
এরপর আগুয়ান ও নিচু হয়ে যাওয়া গোলরক্ষকের মাথার ওপর দিয়ে আলতোভাবে তুলে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৮২ মিনিটে পেনাল্টি পায় মায়ামি।
এই ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফেরা সুয়ারেজই নেন স্পট কিক, তার গোলে ফ্লোরিডার ক্লাবটি ৩-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায়।
৮৬ মিনিটে প্রতিপক্ষের ভুলে বল পেয়ে বক্সে ঢুকে মাটি কামড়ানো শটে দ্বিতীয় বারে বল জড়ান মেসি।
মায়ামি গোলরক্ষক ওস্কার উস্তারি রেকর্ড ছয় ম্যাচে ক্লিনশিট ধরে রেখেছেন। এ ছাড়া টানা তৃতীয় ম্যাচে জিতেছে মায়ামি।

এখন পর্যন্ত মেসি-সুয়ারেজদের দল চলমান এমএলএসে দলীয়ভাবে সর্বোচ্চ ৬৪ গোল করেছে। সর্বশেষ ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই তারা প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ন্যূনতম তিনবার করে।
আজকের জয়ে ২৯ ম্যাচে ৫৫ পয়েন্ট নিয়ে এমএলএস ইস্টার্ন কনফারেন্সের টেবিলে তিনে উঠেছে মায়ামি।
দুটি ম্যাচ বেশি খেলে শীর্ষ দুইয়ে আছে যথাক্রমে ফিলাডেলফিয়া ইউনিয়ন (৬০) ও এফসি সিনসিনাতি (৫৮)।
অন্যদিকে, টানা তিন জয়ের পর হারের মুখ দেখল নিউইয়র্ক সিটি এফসি।
প্রথমার্ধে তারা দুটি গোলের ভালো সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। ৩১ ম্যাচে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান টেবিলের পাঁচে।

