শ্রীলঙ্কায় এশিয়ান জুনিয়র র্যাপিড দাবায় চ্যাম্পিয়ন তাহসিন
ফিদে মাস্টার তাহসিনের ঝুলিতে যোগ হল আরও একটি শিরোপা। শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় ওয়েস্টার্ন এশিয়া জুনিয়র র্যাপিড দাবায় বাংলাদেশের ফিদে মাস্টার তাহসিন তাজওয়ার জিয়া চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন।
সাত খেলায় ৬ পয়েন্ট নিয়ে তিনি শিরোপা অর্জন করেন। স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার চল্লিশের অধিক দাবাড়ু ছাড়াও ভারত, উজবেকিস্তান, তুর্কেমেনিস্তান, মালদ্বীপের দাবাড়ু অংশ নিয়েছেন।
র্যাপিড দাবার সংক্ষিপ্ততম এক ফরম্যাট। স্বল্প সময়ের মধ্যে একদিনেই একাধিক রাউন্ড খেলা হয়ে এই প্রতিযোগিতা শেষ হয়।
ফিদে অনুসারে, দ্রুত বা র্যাপিড দাবা খেলার প্রতিটি খেলোয়াড়ের জন্য সময় নিয়ন্ত্রণ ১০ মিনিটের বেশি কিন্তু ৬০ মিনিটের কম। প্রতিটি চালের জন্য সময় বৃদ্ধি সহ বা ছাড়াই দ্রুত দাবা খেলা যেতে পারে।
যখন সময় বৃদ্ধি ব্যবহার করা হয়, তখন একজন খেলোয়াড় স্বয়ংক্রিয়ভাবে- উদাহরণস্বরূপ, প্রতিটি চালের পরে ঘড়িতে আরও দশ সেকেন্ড সময় লাভ করতে পারে।
১৯৮৭ থেকে ১৯৮৯ সালের মধ্যে ফিদে দ্বারা দ্রুত দাবাকে সক্রিয় দাবা বলা হত।
ফিদে ওয়ার্ল্ড র্যাপিড চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য, প্রতিটি খেলোয়াড়ের ১ম মুভ থেকে শুরু করে প্রতি মুভে ১৫ মিনিট এবং ১০ সেকেন্ড অতিরিক্ত সময় থাকবে।
তাহসিন সাত রাউন্ডের মধ্যে পাঁচটিতে জয় ও দু’টোতে ড্র করেছে। র্যাপিড দাবায় বাংলাদেশের আরেক দাবাড়ু সাকলায়েন মোস্তফা সাজিদ পাঁচ পয়েন্ট পেয়ে ষষ্ঠ হয়েছেন।
মহিলা বিভাগে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক মহিলা মাস্টার ওয়াদিফা আহমেদ ৩ পয়েন্ট পেয়ে ৩৬তম হয়েছেন।
শ্রীলঙ্কায় ওয়েস্টার্ন এশিয়া জুনিয়র স্ট্যান্ডার্ড দাবা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই টুর্নামেন্ট খেলতেই মূলত বাংলাদেশের তিন পুরুষ ও এক মহিলা দাবাড়ু গিয়েছিলেন।
সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন আন্তর্জাতিক মাস্টার মনন রেজা নীড় পঞ্চম, তাহসিন তাজওয়ার নবম হয়েছেন।
ফিদে মাস্টার সাজিদ ১৯ তম হন। মহিলা বিভাগে ওয়াদিফা আহমেদ ১৬ তম হন৷
স্ট্যান্ডার্ড দাবা প্রতিযোগিতার পর দাবার অন্য দুই ফরম্যাট ব্লিটজ ও র্যাপিড অনুষ্ঠিত হয়।
ভারতে ইমিগ্রেশন জটিলতায় এক দাবাড়ু বাংলাদেশে ফিরে আসায় কিংবদন্তি দাবাড়ু রাণী হামিদ সংকটে রয়েছেন। সেই সময় শ্রীলঙ্কা থেকে দাবায় একটি সুখবর আসল।