আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি ডিফেন্ডার গালভান আর নেই
আর্জেন্টিনার ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের অন্যতম সদস্য, কিংবদন্তি ডিফেন্ডার লুইস আদোলফো গালভান আর নেই।
সোমবার (৫ মে) কোর্দোবা শহরের রেইনা ফাবিওলা ক্লিনিকে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৭৭ বছর বয়সে তিনি শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
আর্জেন্টিনার বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে কর্দোভা শহরের একটি হাসপাতালে ছিলেন ৭৭ বছর বয়সী এই সাবেক ফুটবলার।
এর আগে মার্চ মাসে তিনি কিডনি সমস্যার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হন। সেখান থেকে আর ফেরা হয়নি তার।
১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপে গালভান ছিলেন আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগের অপরিহার্য অংশ।
ক্যাপ্টেন দানিয়েল পাসারেলার সঙ্গে জুটি বেঁধে তিনি প্রতিটি ম্যাচে মাঠে নামেন, যার মধ্যে ছিল বুয়েনস আইরেসের মনুমেন্তাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল।
যেখানে আর্জেন্টিনা অতিরিক্ত সময়ে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে পরাজিত করে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জিতে নেয়।
জাতীয় দলের হয়ে ১৯৭৫ থেকে ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত তিনি ৩৪টি ম্যাচ খেলেন এবং ১৯৮২ সালের বিশ্বকাপেও অংশগ্রহণ করেন ।
গালভান তার ক্লাব ক্যারিয়ারের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন তালিয়েরেস দে কোর্দোবা ক্লাবে। যেখানে তিনি ১৭ মৌসুমে ৫০৩টি ম্যাচে অংশগ্রহণ করেন, যা ক্লাবটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
তার ক্লাব ক্যারিয়ারে তিনি আরও খেলেছেন লোমা নেগ্রা, বেলগ্রানো, সেন্ট্রাল নর্তে এবং বলিভিয়ার ক্লাব বলিভারে।
আর্জেন্টাইন ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এএফএ) এক বিবৃতিতে গালভানের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং তাঁর পরিবার ও বন্ধুদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে ।
গালভানের ক্লাব তালিয়েরেস দে কোর্দোবা সামাজিক মাধ্যমে লিখেছে,
“আমরা গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আমাদের ক্লাবের প্রতীক এবং ১৯৭৮ সালের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য লুইস আদোলফো গালভান আমাদের মাঝে আর নেই।
আমরা তাঁর আত্মার চিরন্তন শান্তি কামনা করি এবং তাঁর পরিবার ও প্রিয়জনদের প্রতি সমবেদনা জানাই”।
১৯৭০ সালে পেশাদার ফুটবলে পা রাখেন লুইস। ১৯৭৫ সালে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে অভিষেক হয় তার।
সেই বছর প্যান আমেরিকান গেমসের দলে জায়গা করে নেন তিনি। ১৯৭৮ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন। সবকটি ম্যাচেই তিনি খেলেন।
১৯৮২ বিশ্বকাপের দলেও তিনি ছিলেন। তবে সেই আসরে খুব একটা ভালো করতে পারেনি।
পরের বছরই আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানান তিনি। পেশাদার ফুটবল থেকে অবসরে যান ১৯৮৭ সালে।