তদন্তের মাঝপথেই টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক মনির পদত্যাগ!
ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে থাকা টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক চিফ আম্পায়ার্স কোচ এনামুল হক মনি মাঝপথে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন।
গত ১২ এপ্রিল মোহামেডান-আবাহনীর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদ সৈকতের সঙ্গে অশোভন আচরণ করে বহিস্কৃত হন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের তাওহীদ হৃদয়।
দুই দিন পর গুলশান-শাইনপুকুর ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের দুই ক্রিকেটার মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির ও রহিম আহমেদ স্বেচ্ছায় আউট হওয়ায় স্পট ফিক্সিংয়ের গন্ধ পাচ্ছে অনেকে।
এই দুই ঘটনার তদন্তের ভার ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিশ (সিসিডিএম) দিয়েছিল টেককিন্যাল কমিটিকে। চিফ আম্পায়ার্স কোচ মনিকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের ওই টেকনিক্যাল কমিটিতে অন্য দুই সদস্য ম্যাচ রেফারি সেলিম শাহেদ এবং আম্পায়ার্স কমিটির ইনচার্জ আভি আবদুল্লাহ নোমান। তবে তদন্তের কাজ শেষের আগেই সরে দাঁড়ালেন মনি।
গত ১৮ এপ্রিল সিসিডিএম চেয়ারম্যান বরাবর চিঠি দিয়ে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন মনি। বিসিবির বেতনভুক্ত চিফ আম্পায়ার্স কোচের আকস্মিক পদত্যাগের খবর শুনে বিস্মিত হয়েছেন আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার রহমান মিঠু।
তিনি জানান,
“এই বছরই প্রথম ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের প্রতিটি ম্যাচে বিসিবির এন্টি করাপশন ইউনিটকে নজরদারির দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। মেজর (অব.) রাইয়ান এবং তার লোকবল তাদের সন্দেহে যা যা পড়বে, সেই রিপোর্ট বিসিবিকে দিবে। এই বিষয়টা টেকনিক্যাল কমিটির হাতে নেই।
সিসিডিএম একটা টেকনিক্যাল কমিটি গঠন করতে চেয়ে আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আমরা তিনজনকে মনোনীত করে তাদের নাম সিসিডিএম-এ পাঠিয়ে দিয়েছি। ওনারা আইন অনুযায়ী যে বিচার করার দরকার, সেই সুপারিশ করবেন।
কিন্তু একটি ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেয়ার আগে কমিটির কনভেনর কী করে পদত্যাগ করেন। শারীরিক এবং ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করলেও মানা যেতো। উনি তো বিসিবির চাকরি করেন। এটাও তো মাথায় রাখা দরকার ছিল।”