আর্সেনাল তাণ্ডবে চূর্ণ রিয়ালের ইউসিএল দম্ভ; রাইসের ইতিহাস
আজ এমিরেটস স্টেডিয়ামে রাইস আর আর্সেনাল যা করেছে, তাতে হতভম্ব দশা রিয়াল মাদ্রিদসহ গ্যালারি ও টেলিভিশনের সামনে থাকা দর্শকদেরও। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে আর্সেনালের কাছে ৩-০ ব্যবধানে হেরেছে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। সরাসরি ফ্রিকিকে দুটি গোল করে চ্যাম্পিয়নস লিগে নতুন ইতিহাস গড়েছেন রাইস।
কিক অফ বাঁশির পর ম্যাচের প্রথম গোলমুখে শটটা কিলিয়ান এমবাপ্পে নিলেও সময় যত গড়িয়েছে, আর্সেনাল তত ধারালো হয়েছে। তবে প্রথম ৪৫ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি স্বাগতিকেরা। এর মধ্যে বিরতির আগমুহূর্তে রাইসের হেড আর গ্যাব্রিয়েল মার্তিনেল্লির শট আটকে দেন কোর্তোয়া। আবার ৩১ মিনিটের সময় আর্সেনাল গোলকিপার ডেভিড রায়াকে একা পেয়েও বল তাঁর কাছেই দিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন এমবাপ্পে।

ম্যাচে রং পাল্টায় দ্বিতীয়ার্ধে। ৫৮তম মিনিটে আর্সেনাল ফ্রি কিক পেলে সেটিতে শট নেন ডেকলান রাইস। জোরের সঙ্গে নেওয়া বাঁকানো শট নিচু হয়ে জালে জড়ায়। কোর্তোয়া ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি।
আর্সেনাল ও ওয়েস্ট হাম ক্যারিয়ারে ৩৩৯ ম্যাচ খেলে এটিই রাইসের সরাসরি ফ্রি কিক থেকে প্রথম গোল।
তবে ২৮ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার এখানেই থামেননি। ৭০তম মিনিটে আবার ফ্রি কিক পায় আর্সেনাল, এবারও রাইসের জোরালো শট জালে। ওপরের পোস্ট ঘেষে পৌঁছানো এই বলও নাগালে পাননি রিয়াল গোলকিপার। যে গোল দেখে উদ্যাপন ভুলে মাথায় হাত ওঠে ওডেগার্ডের।

বল জালে জড়ানোর সাথে সাথেই উল্লসিত ডেকলান রাইস দৌড় দিলেন দর্শকের দিকে, পেছন পেছন ছুটলেন আর্সেনাল-সতীর্থরাও।
তবে ক্ষণিকের জন্য জায়গায় থমকে থাকলেন মার্টিন ওডেগার্ড। চোখ গোলপোস্টে, দুই হাত মাথার ওপর আর চেহারায় অবিশ্বাসের চিহ্ন। এই মাত্র কী ঘটে গেছে ঠিক যেন বুঝে উঠতে পারছেন না আর্সেনাল অধিনায়ক।
১২ মিনিটের মধ্যে দুটি দুর্দান্ত ফ্রি কিক গোল দেখে উৎসব শুরু হয়ে যায় এমিরেটস স্টেডিয়ামে। মূলত ওই সময়ই ম্যাচে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে রিয়াল মাদ্রিদ। রাইসের দুই সরাসরি ফ্রি কিক গোলের মধ্যেই আরেকটি গোল হজম থেকে বাঁচান কোর্তোয়া ও বেলিংহাম।

উল্লেখিত, রাইসই প্রথম খেলোয়াড় যিনি চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউটে সরাসরি ফ্রি কিক থেকে দুটি গোল করেছেন। এর আগে রিভালদো, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো, নেইমার, হাকিম জিয়েশরা করলেও সে সব নকআউটের ম্যাচ ছিল না।
তবে তার আগেই দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে লাল কার্ডে মাঠ ছাড়তে হয় রিয়ালের এদুয়ার্দো কামাভিঙ্গাকে।