নিজের জন্মদিনে তামিমের জন্য সকলের দোয়া চাইলেন সাকিব
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের (ডিপিএল) ম্যাচ খেলতে নেমে হঠাৎ অল্প সময়ের মধ্যেই দুইবার হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছেন তামিম ইকবাল। জরুরি অবস্থায় তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়ার পর হার্টে রিং পরানো হয়েছে। তামিমের সুস্থতা কামনায় নিজের জন্মদিনে তামিমের জন্য সকলের দোয়া চাইলেন সাকিব আল হাসান।
একপ্রকার ‘মৃত্যুর দুয়ার’ থেকে ফিরে এলেন তামিম ইকবাল। তবে এখনো শঙ্কা পুরোপুরি কাটেনি। সাবেক এই অধিনায়কের জন্য প্রার্থনায় স্বজন, ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে গোটা দেশের মানুষ। দীর্ঘ সময় একসঙ্গে বাইশগজে দেশের প্রতিনিধিত্ব করা সতীর্থের জন্য দোয়া চেয়ে এবার নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করলেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সোমবার (২৪ মার্চ) রাতে নিজের ভ্যারিফাইড ফেসবুক একাউন্টে তিনি লিখেছেন,
‘আজ আমার জন্য বিশেষ দিন, কিন্তু মনটা পুরোপুরি আনন্দে নেই, কারণ আমার প্রিয় সতীর্থ ও বন্ধু তামিম ইকবাল অসুস্থ। মাঠে আমরা একসঙ্গে অনেক লড়াই করেছি, অনেক স্মৃতি রয়েছে, আর সবসময় চাইব আমাদের এই পথচলা আরও দীর্ঘ হোক।’
‘তামিম, তুমি বাংলাদেশের ক্রিকেটের অন্যতম বড় শক্তি। তোমার দ্রুত সুস্থতা ও মাঠে ফিরে আসার জন্য দোয়া করছি। ইনশাআল্লাহ, তুমি খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।’
তামিমের জন্য আপনার দোয়াই হবে, আমার জন্মদিনের সেরা উপহার । দোয়া করবেন—আমার ভাই তামিম যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে আবার মাঠে ফিরতে পারে!’
‘আশা করি তামিম তাড়াতাড়ি সুস্থ হবে! ওর জন্য দোয়া করবেন সবাই! ওর পরিবারের জন্য ডিফিকাল্ট টাইমটা যেনও পার হয় ভালোভাবে! ইনশাআল্লাহ তামিম সুস্থ হবে!’
প্রসঙ্গত, প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ খেলতে নেমে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তামিম ইকবাল। বুকে ব্যথা নিয়ে সাভারের কেপিজে স্পেশালাইজড হাসপাতালে যান। পরে জানা যায়, দুবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে তামিমের। হার্টে ব্লক ধরা পড়ার পর রিংও পরানো হয়েছে।
তামিমের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাভারের কেপিজি বিশেষায়িত হাসপাতালের (পূর্বের ফজিলাতুননেসা মুজিব হাসপাতাল) ডিরেক্টর ড. রাজিব গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে জানিয়েছেন,
‘আমরা সবাই জানি তামিম ইকবাল ভাই আজ সকাল বেলা অসুস্থ হয়েছিলেন। ৯টা-সাড়ে ৯টার দিকে বিকেএসপিতে অসুস্থ হন। এখানে নিয়ে আসার পর চিকিৎসা শুরু হয়। পরবর্তীতে আমরা চিন্তা করি ঢাকায় নিয়ে যাওয়া যাবে কিনা।
কিন্তু উনার অবস্থা গুরুতর হয়ে যায়, এই গুরুতর অবস্থায় আবার আমাদের কাছে আসেন। গুরুতর অবস্থা থেকে যত রকম চিকিৎসা দরকার সবই করা হয়েছে। আল্লাহর রহমতে উনার অবস্থা অনুকূলে আছে।’
‘উনার একটা হার্ট অ্যাটাক হয়েছে, এটার জন্য এনজিওগ্রাম করে এনজিওপ্লাস্টি ও স্টেন্ট করা হয়েছে। স্টেন্টিং খুব স্মুথ ও কার্যকরভাবে হয়েছে। এটা করেছেন ডা. মনিরুজ্জামান মারুফ। উনার ব্লকটা পুরোপুরি চলে গেছে এখন। এখনো উনি পর্যবেক্ষণে আছে, গুরুতর অবস্থা এখনো কাটেনি। এটা একটু সময় লাগবে। সবাই উনার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছি।’