খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বুধবার, ১৮ই ডিসেম্বর ২০২৪

হার দিয়ে ওয়ানডে সিরিজ শুরু টাইগারদের

রোববার সেন্ট কিটসে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে বাংলাদেশকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৯৪ রান করে সফরকারীরা। ওই রান ১৪ বল আগেই তাড়া করেছে ক্যারিবীয়রা।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে পঞ্চম ওভারে গিয়ে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৮ বলে ১৯ রান করে ওপেনার সৌম্য সরকার আলজারি জোসেফের বলে ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। পাওয়ার প্লের মধ্যেই লিটন দাসের উইকেটও হারায় তারা।

৭ বলে ২ রান করে রোমারিও শেফার্ডের বলে তিনিও ক্যাচ দেন শাই হোপের হাতে। পাওয়ার প্লের ১০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫৮ রান করে বাংলাদেশ। এরপর তানজিদ হাসান তামিমের সঙ্গে জুটি গড়েন অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ।

অবশ্য মিরাজ ফিরতে পারতেন শুরুতেই। শূন্য রানে তাকে আম্পায়ার এলবিডব্লিউ আউট দিলেও পরে রিভিউ নিয়ে বাঁচেন। দুবার তার ক্যাচ ছাড়েন ক্যারিবীয়ান ফিল্ডাররা। এর মধ্যে ৪৫ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের তৃতীয় হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন তানজিদ হাসান।

তিনি ইনিংস খুব একটা লম্বা করতে পারেননি। ৬০ বলে ৬০ রান করে আলজারি জোসেফের বলে শর্ট থার্ড ম্যান অঞ্চলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তানজিদ। তার বিদায়ের পর নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন অধিনায়ক মিরাজ।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিজের পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি পেতে তার লাগে ৭২ বল। মাঝে আফিফ হোসেন ২৯ বলে ২৮ রান করে আউট হয়ে যান।

মিরাজও সেঞ্চুরির কাছাকাছি যেতে পারেননি। ১০১ বলে ৬টি চার ও ১ ছক্কায় ৭৪ রান করে সিলসের বলে রাদারফোর্ডের হাতে ক্যাচ দেন তিনি। তার বিদায়ের পর বাংলাদেশের হাল ধরেন জাকের আলি অনিক ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

দলের রানকে তিনশর কাছাকাছি নিয়ে যান তারা দুজনই। ৭৪ বলে ৯৬ রানের জুটি ছিল তাদের। ৪০ বলে ৪৮ রান করে ইনিংস শেষ হওয়ার এক বল আগে আউট হন জাকের। ৪৪ বলে ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন রিয়াদ।

রান তাড়ায় নেমে শুরুতে তেমন সুবিধা করতে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২৭ রানে দুই উইকেট হারায় তারা। পাওয়ার প্লের ১০ ওভার আসে ৪২ রান। দুই ওপেনারের মধ্যে ব্রেন্ড কিং ১৭ বলে ৯ রান করে তানজিম হাসান সাকিব ও এভিন লুইস ৩১ বলে ১৬ রান করে আউট হন নাহিদ রানার বলে।

পরে ৩৭ বলে ২১ রান করে রিশাদ হোসেনের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান কেসি কার্টি। ৯৪ রানে তিন উইকেট হারানোর পর দুটি বড় জুটিতে লক্ষ্যের খুব কাছাকাছি পৌঁছে যায় ক্যারিবীয়রা, দুটিতেই ছিলেন রাদারফোর্ড।

শাই হোপের সঙ্গে ৯৩ বলে ৯৩ রানের জুটি গড়েন তিনি। ৮৮ বলে ৩ চার ও চারটি ছক্কায় ৮৬ রান করে মেহেদী হাসান মিরাজের বলে আউট হন হোপ। এরপর রাদারফোর্ড ৫৭ বলে ৯৫ রানের জুটি গড়েন জাস্টিন গ্রেবসের সঙ্গে।

ব্যক্তিগতভাবেও তিন অঙ্ক ছুঁয়েছেন তিনি। ৮০ বলে সাতটি চার ও আটটি ছক্কায় ১১৩ রান করেন রাদারফোর্ড। ৩১ বলে ৪১ রান করে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন গ্রেবস।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy