খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

মঙ্গলবার, ৩রা ডিসেম্বর ২০২৪

বার্সায় বিধ্বস্ত রিয়াল

এ যেন অন্য এক বার্সেলোনা!

জাভি হার্নান্দেসের চেয়ারে বসে হান্সি ফ্লিক যেন নতুন প্রাণ এনে দিয়েছেন ক্লাবটিকে। চলতি মৌসুমে একের পর এক প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে তারা।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদও সবশেষ সংযোজন হিসেবে নাম লেখাল এই তালিকায়।

 

কিছুদিন আগেই চ্যাম্পিয়নস লিগে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে দুবার পিছিয়ে গিয়েও ৫ গোল দিয়েছিল রিয়াল। সেই সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতেই এবার বার্সেলোনার কাছে ৪-০ গোলে হারল লা লিগার বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

অথচ ঘরের মাঠে হার কী জিনিস- সেটা ভুলেই যেতে বসেছিল কার্লো আনচেলত্তির দল। টানা ৪২তম ম্যাচে অপরাজিত থেকে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের আতিথ্য দেয় তারা। আর সেখানেই এই অজেয় যাত্রার দাঁড়ি টানল বার্সা। একই সঙ্গে অক্ষত রাখল নিজেদের রেকর্ড। লা লিগা ইতিহাসে ঘরের মাঠে সর্বোচ্চ ৪৩ ম্যাচ (এপ্রিল ২০১৭-মে ২০১৮) অপরাজিত থেকেছে কাতালানরা।

রেকর্ড অক্ষত রাখতে দুই মিনিটের ব্যবধানে জোড়া গোল করেন রবের্ত লেভানদোভস্কি। এরপর গোলের খাতায় নাম লেখান লামিন ইয়ামাল ও রাফিনিয়া।

অথচ রিয়াল ভক্তরা খুব করে তাকিয়ে ছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পের দিকে। প্রথম এল ক্লাসিকো বলে কথা, তাও আবার ঘরের মাঠে। কিন্তু প্রথমার্ধজুড়ে কেবল হতাশই করেছেন তিনি। একের পর এক অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে যেতে ব্যর্থ হন এই ফরোয়ার্ড। এমনকি গোলের দেখা পেলেও সেটা বাতিল হয় অফসাইডের কারণে৷

দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের খোলনলচে একদমই পাল্টে ফেলে বার্সা। বদলি হিসেবে নেমে মিডফিল্ডে আরও জোর বাড়ান ফ্রেঙ্কি ডি ইয়ং। একইসঙ্গে নেতৃত্বের অসাধারণ ছাপ রাখেন তিনি এ ম্যাচে।

৫৪ মিনিটে একাডেমি থেকে উঠে আসা মার্ক কাসাদোর নিখুঁত পাসে বার্সাকে এগিয়ে দেন লেভা। দু মিনিট পরই বার্নাব্যুতে পিনপতন নীরবতা বয়ে আনেন তিনি। ডানপ্রান্ত থেকে আলেহান্দ্রো বালদের ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে দারুণ এক গোল করেন এই ফরোয়ার্ড।

এরপর অবশ্য হ্যাটট্রিক করার দারুণ দুটি সুযোগ আসে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেননি লেভা৷ এর মধ্যে একটি শট অবশ্য বারে লাগে।

লেভা হ্যাটট্রিক না পেলেও বার্সার তৃতীয় গোল পেতে সময় লাগেনি খুব একটা। ৭৭ মিনিটে দুরূহ এক কোণ থেকে ডান পায়ের শট জালে প্রবেশ করান ইয়ামাল। যার ফলে এল  ক্লাসিকো ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতায় পরিণত হলেন তিনি। ভেঙেছেন ৭৭ বছরের পুরোনো রেকর্ড।

১৯৪৭ সালে রিয়ালের বিপক্ষে ১৭ বছর ৩৫৬ দিন বয়সে গোল করেছিলেন বার্সার আলফোনসো নাভারো। অন্যদিকে লামিন ১৭ বছর ১০৬ দিন বয়সে খেলতে নেমে গোলটি করেন।

এর ৭ মিনিট পরই রিয়ালের কফিনে শেষ পেরেকটি মারেন রাফিনিয়া। দুর্দান্ত ফর্মে থাকা এই ফরোয়ার্ড কিছুদিন আগে চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে পেয়েছেন হ্যাটট্রিকের দেখা। দ্বিতীয়ার্ধে আর কোনোভাবেই ম্যাচে ফেরার সুযোগ পায়নি রিয়াল।

এই জয়ে ১১ ম্যাচে ৩০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষস্থান মজবুত করল বার্সা। ৬ পয়েন্ট দূরে থেকে দুইয়ে আছে রিয়াল। ১১ ম্যাচ শেষে তাদের অর্জন ২৪ পয়েন্ট।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy