আগামীকাল মিরপুরে শুরু হচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্ট। তার আগে আজ সাংবাদিক সম্মেলনে আসেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত।
সাকিব আল হাসানকে নিয়ে প্রশ্ন হবে সেটি যেন ছিল অবধারিত। নাজমুল হোসেন শান্তও হয়তো তৈরিই ছিলেন।
বেশিরভাগ প্রসঙ্গেই ‘কথা বাড়াতে চাই না’ এমন বলেই সামলে নেওয়ার প্রস্তুতিই যেন ছিল তার।
দেশের মাটিতে সাকিবের বিদায় না নিতে পারা নিয়ে শান্ত বলেন, ‘কীভাবে দেখছি আসলে দুর্ভাগ্যজনক। হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমরা সবাই জানি কেন হয়নি। এটা নিয়ে আসলে টেস্টের আগের দিন কথা বেশি বাড়াতে চাই না। আমি চাই প্রতিটা খেলোয়াড় খেলায় ফোকাস করুক। ’
রাজনৈতিক বাস্তবতা বদলে যাওয়ার পর সাকিবের নামে হত্যা মামলা হয়। তখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব ছিলেন অধিনায়ক শান্তসহ প্রায় সব ক্রিকেটার। কিন্তু এখন যখন নিরাপত্তার কারণে সাকিব দেশে ফিরতে পারছেন না, তখন তাদের নীরবতা কেন?
উত্তরে শান্ত বলেন, ‘এরকম কোনো কিছুই না। আমি যেটা একটু আগে বললাম আগামীকালকে একটা টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। আমরা সবাই জানি যে হ্যাঁ, উনি যদি এখান থেকে শেষ করতে পারতো, খুবই ভালো হতো। ফোকাসটা পরবর্তীতে সেই জায়গায় আনা হয়েছে কীভাবে আমরা টেস্ট ম্যাচটা জিততে পারি। ’
‘এখন যত কথা বলব, এখান থেকে কোনো কিছু পাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারণ আমরা সবাই জানি কেন উনি আসতে পারছেন না। এখন বর্তমান সময়ে যে অবস্থা, ফেসবুকে একটা করে স্ট্যাটাস দিলে সবকিছু সমাধান হয়ে যায়, চিন্তা করছি প্রতিদিন একটা করে আমিও স্ট্যাটাস দেব। ’
সংবাদ সম্মেলন ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের জন্য। এই সিরিজের প্রথম ম্যাচের স্কোয়াডে শুরুতে থাকলেও পরে সাকিবকে বাদ দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন ধরেই সব বিভাগে দলের জন্য বড় ভরসার নাম ছিলেন তিনি। এখন তার অনুপুস্থিতিতে কম্বিনেশন খুঁজতে কতটা সমস্যায় পড়ছে বাংলাদেশ?
শান্ত বলেন, ‘অবশ্যই এখন সমস্যা হচ্ছে কম্বিনেশন মিলাতে। এটা অস্বীকার করার কিছু নেই। হয়তো এই জায়গাটা ঠিক করতে আমাদের বেশ কিছুদিন সময় লাগবে। কিন্তু আসলে এটা নিয়ন্ত্রণে নেই। এটা আমাদেরকে সেভাবেই ম্যানেজ করতে হবে। যে খেলোয়াড়গুলো আছে, আমার মনে হয় ওই সক্ষমতাটা আছে যে, যার যে জায়গা থেকে ভূমিকা রাখবে। আমি আশা করবো যে খেলোয়াড় আসবে তার জায়গা থেকে সে একশ ভাগ দেবে। ’