অনিশ্চয়তা কাটিয়ে চূড়ান্ত দলে তাসকিন
তাসকিনের চোট কাটিয়ে ওঠা নিয়ে সংশয় থাকলেও, তাকেই নিয়েই গড়া হয় বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড। দল ঘোষণার সময় প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন বলেছিলেন, টুর্নামেন্টের কোনো এক পর্যায়ে এই পেসারকে পাওয়া যেতে পারে।
সেই আশায় বুক বেঁধে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সিরিজের জন্য দেশ ছাড়ার সময়ই তাসকিনকে সঙ্গে নেয় দল। আর এই সিরিজ চলাকালে জানা গেল, তার পাজরের ডান পাশের হাড়ের চোট অনেকটাই সেরে ওঠার পথে।
ঘরের মাঠে চলতি মাসেই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে ফিল্ডিংয়ের সময় এই চোট পান তাসকিন। ফলে ওই সিরিজের শেষ ম্যাচটি খেলা হয়নি তার। তখন করানো স্ক্যানের রিপোর্ট অবশ্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়নি।
পরে যুক্তরাষ্ট্র গিয়ে আবার এমআরআই করানো হয় তাসকিনের। সেখানে সন্তোষজনক ফল পাওয়ার কথা বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রত্যাশার চেয়েও দ্রুত সেরে উঠছেন ২৯ বছর বয়সী পেসার। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ জুন থেকে মাঝারি রান-আপে বোলিং শুরু করার কথা তার।
প্রাথমিকভাবে বোলিং শুরুর পর আর কোনো সমস্যা না হলে ৫ তারিখ থেকে পূর্ণ রান-আপে বোলিংয়ে ফিরবেন তাসকিন। আর বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ৭ জুন (বাংলাদেশ সময় ৮ জুন ভোর সাড়ে ৬টা), শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তাসকিনের সবশেষ অবস্থা জানান প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ।
“আমাদের ফিজিও বায়েজিদ (বায়েজিদুল ইসলাম) জানিয়েছেন, তারা যে গতিতে তাসকিনের সেরে ওঠার কথা চিন্তা করেছেন, তার চেয়ে কিছুটা এগিয়ে আছে তাসকিন। ভালো সাড়া দিচ্ছে সে। তারা আশাবাদী, ৩১ তারিখ নাগাদ আবার পর্যবেক্ষণ করে হয়তো তাসকিন বোলিং শুরু করবে ১ তারিখ থেকে। যদি সবকিছু পরিকল্পনামাফিক হয়।”
“আর এখন থেকে হয়তো স্ট্রেংথ ও ফিটনেস ট্রেনিং করবে। আশা করা যায়, ৫ তারিখের মধ্যে হয়তো সে পূর্ণ রান আপে বোলিং করবে। এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে। এটা সম্ভাব্য। আমি যে কথাগুলো বললাম, সবই সম্ভাব্য। এমনটা পরিকল্পনা। সব তো পরিকল্পনা মতো হয় না সবসময়। কিছুটা এগোতেও পারে, আবার কখনও পিছিয়েও যায়।”