আইসিসির বর্ষসেরা ক্রিকেটার কামিন্স ও সিভার-ব্রান্ট
২০২৩ সালের বর্ষসেরা পুরুষ ও নারী ক্রিকেটারের নাম বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা। সেরার লড়াইয়ে কামিন্স হারিয়েছেন তার সতীর্থ ট্রাভিস হেড, ভারতের ব্যাটিং গ্রেট ভিরাট কোহলি ও স্পিনিং অলরাউন্ডার রবীন্দ্র জাদেজাকে।
গত বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৪ ম্যাচে ৫৯ উইকেট নেন কামিন্স। যেখানে টেস্টে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ শিকার ধরেন ১১ ম্যাচে; ইনিংসে ৫ উইকেট তিনবার ও ম্যাচে ১০ উইকেট একবার।
ওয়ানডেতে ১৩ ম্যাচে নেন ১৭ উইকেট। ২০২৩ সালে কোনো টি-টোয়েন্টি তিনি খেলেননি। দুই সংস্করণ মিলিয়ে ব্যাট হাতে করেন ৪২২ রান।
কামিন্সের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স ছাপিয়ে আলোচনায় তার নেতৃত্ব। গত বছর এই পেসারের অধিনায়কত্বে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া। ইংল্যান্ডের মাটিতে স্বাগতিকদের আগ্রাসী ‘বাজবল’ কৌশলের বিপক্ষে ধরে রাখে অ্যাশেজ।
অধিনায়ক কামিন্সের সবচেয়ে বড় সাফল্য মেলে বছরের শেষ দিকে। অক্টোবর-নভেম্বরে ভারতে অনুষ্ঠিত ওয়ানডে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার রেকর্ড ষষ্ঠ শিরোপা জয়ে বড় ভূমিকা ছিল তার বুদ্ধিদীপ্ত ও তীক্ষ্ণ নেতৃত্বের।
কামিন্স বছর শেষ করেন পাকিস্তানের বিপক্ষে মেলবোর্ন টেস্টে ১০ উইকেট নিয়ে। মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডের সুদীর্ঘ ইতিহাসে প্রথম অধিনায়ক হিসেবে এক টেস্টে ১০ উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়েন তিনি।
সেরা নারী ক্রিকেটারের পুরস্কার ‘র্যাচেল ফ্লিন্ট’ ট্রফি জিতেছেন ইংল্যান্ডের অলরাউন্ডার ন্যাট সিভার-ব্রান্ট। লড়াইয়ে তিনি হারিয়েছেন শ্রীলঙ্কার চামারি আতাপাত্তু, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশলি গার্ডনার ও বেথ মুনিকে।
টানা দ্বিতীয়বারের মতো এই পুরস্কার জিতলেন ৩১ বছর বয়সী সিভার-ব্রান্ট।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে গত বছর ১৮ ম্যাচ খেলে ৮৯৪ রান করেন সিভার-ব্রান্ট। পেস বোলিংয়ে নেন ৯ উইকেট।
২০২৩ সালে তার সেরা সময়টা কাটে ওয়ানডেতে। মাত্র ৬ ম্যাচ খেলে ৩৯৩ রান করেন তিনি ১৩১ গড়ে। যেখানে তিন ম্যাচেই করেন সেঞ্চুরি। বছরে দুই টেস্টে দুটি ফিফটিও করেন ডানহাতি এই ব্যাটার।
উইমেন’স টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের গত আসরে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৬ রান ছিল তার। যদিও বোলিংয়ে সেভাবে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি, নেন কেবল ১ উইকেট। মূলত ওয়ানডের পারফরম্যান্সেই বর্ষসেরার লড়াইয়ে এগিয়ে যান তিনি।