ম্যাচসেরা হয়ে শ্রীলঙ্কার সাবেক নির্বাচকদের জবাব দিলেন ম্যাথিউস
বয়স প্রায় ৩৭-এর কাছাকাছি। এই বয়সে খুব বেশি পাওয়ার হিটার না হলে ছোট সংস্করণে জাতীয় দলে জায়াগা পাওয়া মুশকিল। তার উপর ইনজুরি, ফিটনেস ইস্যুতে এঞ্জেলো ম্যাথিউস ছিলেন অনিয়মিত। এর পরেও অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যানের উপর ভরসা রেখেছিল শ্রীলঙ্কার টিম ম্যানেজমেন্ট। আর সেই আস্থার দারুণভাবে প্রতিদান দিলেন ম্যাথিউস। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে প্রায় হাত ফসকে যাওয়া ম্যাচ তার ব্যাটিং দৃঢতায় নাটকীয়ভাবে জিতে লঙ্কানরা।
কলম্বোতে গতকাল সিরিজের প্রথম ম্যাচে নতুন বলে ২ ওভার বোলিং করে ম্যাথুস দেন ১৩ রান। ব্যাটিংয়ে ৩৮ বলে ৪৬ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন ২০২১ সালের মার্চের পর প্রথমবারের মতো এ সংস্করণে খেলা সাবেক এই অধিনায়ক। ৩ উইকেটে পাওয়া জয়ে ম্যাচসেরাও তিনি। এদিন দলকে জিতিয়ে শ্রীলঙ্কার নির্বাচকদের নিয়ে বোম ফাটালেন এই তারকা ক্রিকেটার।
ম্যাচসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারটা জিতে ম্যাথিউস বলেন,‘লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগের (এলপিএল) শেষ দুই মৌসুমে আমি ভালো ব্যাটিং ও বোলিং করেছিলাম। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমাকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপগুলোর দলে নেওয়া হয়নি। আমাকে কোনো কারণও বলা হয়নি। আপনি যদি অ্যাজেন্ডার ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে এমন ঘটতে পারে। আমরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতেও সুযোগ পাইনি।’
এছাড়া ম্যাথিউস আরও জানিয়েছেন, ‘আমি কিন্তু একটা জিনিসে বিশ্বাস করি, যদি আপনি অনুশীলন ও খেলা মন দিয়ে করেন, আপনি নিজের জন্য এমন একটা আবহ তৈরি করতে পারবেন, যেখানে পারফর্ম করা যায়। গত দুই বছরে আমি নিজের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছি। আমার মনে হয় আরেকটু খেলতে পারব।’
এ বছরে আছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আগামী জুনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে বসবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর। সেই বিশ্বকাপে দলের পরিকল্পনাতেও তাকে নতুন নির্বাচক কমিটি রেখেছে বলে জানিয়েছেন ম্যাথিউস, ‘নতুন নির্বাচকদের সঙ্গে আমার যোগাযোগ বেশ পরিষ্কার। তারা আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানতে চেয়েছে, তাদেরটিও বলেছে। আমাদের বেশ ভালো আলোচনা হয়েছে। তারা বলেছে, আমি তাদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় আছি এবং আমি কয়েক ওভার (বোলিং) করতে পারব কি না। আমি বলেছি, অবশ্যই- ‘যেকোনোভাবে দলকে যদি সহায়তা করতে পারি (তাতেই আমি খুশি)।’
নিজের বোলিং নিয়ে ম্যাথিউস আরও জানান, ‘আমি এলপিএলেও বোলিং করেছি, আপনারা আমাকে সম্প্রতি ওয়ানডেতে (ঘরোয়া ক্রিকেটে) বোলিং করতে দেখেছেন। যদি আমার কয়েক ওভার দলের ভারসাম্যে সহায়তা করে এবং অধিনায়ক সিদ্ধান্ত নিতে পারে, সে একজন অতিরিক্ত ব্যাটার বা একজন বোলার খেলাতে চায়।’