রিয়ালের বড় জয়ের দিনে বার্সার ড্র
টানা ১৫ ম্যাচ অপ্রতিরোধ্য থাকার পর গেতাফের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছিলো রিয়াল। গতরাতে ভ্যালেন্সিয়াকে হারিয়ে আবার জয়ে ফিরলো রিয়াল মাদ্রিদ। বেনজেমা ছুঁয়েছে ৩০০ গোলের মাইলফলক। অন্যদিকে, ম্যাচের শেষ মুহূর্তে এসে চিত্রনাট্য পাল্টে গ্রানাডার বিপক্ষে ড্র করতে হলো বার্সেলোনাকে।
ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ভ্যালেন্সিয়াকে পেয়ে উড়িয়ে দিলো রিয়াল। গত রাউন্ডে গেতাফের মাঠে ১-০ গোলের পরাজয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে রিয়ালের টানা ১৫ ম্যাচের অপরাজিত যাত্রা থেমেছিল। শনিবার রাতে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ম্যাচটি ৪-১ গোলে জিতেছে কার্লো আনচেলত্তির দল। ঘরের মাঠে নিজেদের আধিপত্য বজায় রেখে দুটি করে গোল করেছেন করিম বেনজেমা এবং ভিনিয়াস জুনিয়র।
২১ ম্যাচে ৪৯ পয়েন্টে শীর্ষে রিয়াল। তাদের চেয়ে আট পয়েন্ট পিছিয়ে দুইয়ের সেভিয়া, দুই ম্যাচ কম খেলে তাদের সংগ্রহ ৪১ পয়েন্ট। সমান ৩৩ পয়েন্টে থাকলেও গোল ব্যবধানে তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে যথাক্রমে রিয়াল বেটিস ও রিয়াল সোসিয়েদাদ
শনিবার রাতে লা লিগায় গ্রানাডার মাঠে ১-১ গোলের হতাশার ড্র নিয়ে মাঠ ছেড়েছে বার্সেলোনা। করোনা থেকে মুক্তির পর একাদশে ছিলেন দানি আলভেজ। ফেরেন জর্ডি আলবা ও গ্যাভি। কোভিড নেগেটিভ হওয়ায় বার্সার ডাগআউটে ছিলেন কোচ জাভিও। করোনা জর্জরিত বার্সার ‘বি’ টিম সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি ঠিকঠাক।
বিরতির পর বার্সেলোনার হতাশা দীর্ঘায়িত হয়নি। ৫৭ মিনিটে আলভেজের বাড়ানো লম্বা পাসে ডি বক্সে থাকা ডি ইয়ং এর মাথা ছুঁইয়ে গ্রানাডার জালে বল জড়ায়। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের এক মিনিট বাকি থাকতেই কর্ণার কিক থেকে উড়ে আসা বল স্টেগানের দেয়াল ভেঙ্গে বার্সার জালে বল জড়িয়ে যায়। এতেই ১-১ গোলে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কাতালানদের।
২০ ম্যাচে ৩২ পয়েন্ট পাওয়া বার্সা টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে। এক ম্যাচ কম খেলা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ সমান পয়েন্টে থাকলেও গোল ব্যবধানে এগিয়ে পাঁচে।