দ্রুততম সেঞ্চুরি করে বড়দিনের আগে নিজেই নিজেকে উপহার দিলেন হ্যারি কেইন। বায়ার্ন মিউনিখ স্ট্রাইকার বুন্দেসলিগায় শততম গোলে অবদান রেখে ইতিহাস গড়লেন।
রোববার রাতে হেইডেনহেইমের বিপক্ষে অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নেমেছিলেন কেইন। এই ম্যাচে প্রথমবার ক্লাবের নেতৃত্ব পান তিনি।
৪-০ গোলে জিতে শীর্ষস্থান সুসংহত করেছে বায়ার্ন। ৯ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে নতুন বছর শুরু করবে তারা।
বড় ব্যবধানে জয়ের পথে গোলের জন্য লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়েছে হ্যারি কেইনকে।
প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচের ১৫তম মিনিটে বায়ার্নকে এগিয়ে দেন ক্রোয়াট ডিফেন্ডার ইয়োসিপ স্তানিসিচ। ৩২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান মাইকেল ওলিসে।
৮৬তম মিনিটে গোল করেন লুইস দিয়াস। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোলটি করেন কেইন।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই মৌসুমে কেইন ২৫ ম্যাচে ৩০ গোল করেছেন। জার্মান লিগে করেছেন ১৯তম গোল।
বায়ার্নের হয়ে ৮১তম লিগ গোলে অনন্য এক রেকর্ড হলো ৩২ বছর বয়সীর। জার্মান লিগে তার অ্যাসিস্ট ১৯টি।
মানে বুন্দেসলিগায় ১০০ গোলে অবদান তার। জার্মানির শীর্ষ ফুটবল প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে কম ম্যাচ খেলে গোলের অবদানে দ্রুততম সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
ইংল্যান্ড অধিনায়ক এই রেকর্ড গড়েছেন মাত্র ৭৮ ম্যাচ খেলে। আগের রেকর্ডধারী আরিয়েন রোবেনের চেয়ে ৪১ ম্যাচ কম খেলে এই কীর্তি কেইনের। নেদারল্যান্ডস কিংবদন্তি ১০০ গোলে অবদান রাখতে পেরেছিলেন ১১৯ ম্যাচ খেলে।
ম্যাচ শেষে কেইন সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া জানান,
‘সবার উপরে থেকে বছর শেষ। নতুন বছর শুরুর আগে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স। শীতের ছুটিতে প্রাণবন্ত হওয়ার সময় এবং ২০২৬ সালে আবার মাঠে নামার অপেক্ষায়।’
বায়ার্নের জার্সিতেও আগেও বেশ কিছু রেকর্ড গড়ে ফেলেছেন কেইন। নতুন অর্জনেও তিনি আপ্লুত। যদিও বলছেন, রেকর্ড নিয়ে খুব একটা ভাবনা থাকে না তার। ৩২ বছর বয়সী তারকা তবু তাকিয়ে পরের একশতে।
‘শেষ পর্যন্ত গোলটি করতে পারায় ভালো লেগেছে। আগেও কয়েকটি সুযোগ পেয়েছি, কাজে লাগাতে না পেরে বিরক্ত ছিলাম। পরে একটি অন্তত পেরেছি।’
কেইন জানান,
‘অবশ্যই খুবই গর্বিত (রেকর্ড নিয়ে)। প্রতিটি দিনের যে নিবেদন… সতীর্থরা, সাপোর্ট স্টাফদের কথাও বলতে হবে, যারা আমাকে আরও ভালো করে তোলে ও উন্নতি সহায়তা করে। আমি এসব রেকর্ডের দিকে অবশ্য খুব একটা তাকাই না। তবে যখন তা ধরা দেয়, ভালো লাগে এবং পরের অর্জনে তাকাতে ভালোবাসি। কাজেই দেখা যাক, পরের একশ কত দ্রুত করতে পারি।’


