খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

শনিবার, ২রা আগস্ট ২০২৫

হাসান আলির ফাইফারে সিরিজের শুরুতেই নাস্তানাবুদ বাংলাদেশ

তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের শুরুতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে হাসান আলির ফাইফারে নাস্তানাবুদ বাংলাদেশ! লিটন দাসের দলকে হারতে হলো ৩৭ রানের ব্যবধানে।

আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারের পর বাংলাদেশ দলের বর্তমান মিশন পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ। তবে সেখানেও হার দিয়ে সিরিজ শুরু করল টাইগাররা।
পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে মোট ১৬৪ রান।

পাক পেসার হাসান আলির বোলিং তোপে ২০ ওভারের আগেই গুটিয়ে যায় টাইগাররা।

তানজিদ তামিমের ৩১, জাকের আলি অনিকের ৩৬ এবং লিটন দাসের ৪৮ কেবল হারের রানই কমিয়েছে। জয়ের জন্য মোটেও কার্যকরী ছিল না এমন ইনিংস।

এদিন বড় রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ব্যর্থ ছিলেন ওপেনার পারভেজ ইমন, ফিরে যান ৪ রান করে।
ক্রিজে থিতু হয়েও টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেননি তাওহীদ হৃদয়।রান করতে পারেননি শামীম পাটোয়ারী কিংবা রিশাদ হোসেনরাও।

শেষ পর্যন্ত সবকটি উইকেট দিয়ে টাইগাররা সংগ্রহ করে ১৬৪ রান। হাসান আলি সংগ্রহ করেন ৫ উইকেট।

হাসান আলির ফাইফারে সিরিজের শুরুতেই নাস্তানাবুদ বাংলাদেশ

এর আগে ম্যাচের শুরুতে লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান দল।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ২০১ রান করে পাকিস্তান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করেন সালমান।

বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট সংগ্রহ করেন শরিফুল ইসলাম।

বোলিংয়ে শুরুটা ভালোই করেছিল বাংলাদেশ। ৫ রানেই পাকিস্তানের দুই ওপেনারকে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল টাইগাররা।

তবে সেই চাপ সামলে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ায় স্বাগতিকরা।

সালমান আলি আগার ফিফটিতে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ গড়ে তোলে তারা। মোহাম্মদ হারিস ও সালমান আলি আগা দুজনে মিলে তৃতীয় উইকেট জুটিতে যোগ করেন ৪৮ রান।
তাতে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারালেও ৫২ রান যোগ করে স্বাগতিকরা।

হাসান আলির ফাইফারে সিরিজের শুরুতেই নাস্তানাবুদ বাংলাদেশ

হারিস ইনিংস বড় করতে না পারলেও ফিফটি পেয়ে যান সালমান। ৩৪ বলে ৫৬ রান করেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। এছাড়া ৩২ বলে ৫৪ রানের ইনিংসে জাত চিনিয়েছেন হাসান নাওয়াজ।
আর শেষদিকে ঝোড়ো ব্যাটিং করেছেন শাদাব খান। তাতে দুইশ ছাড়ানো সংগ্রহ পেয়ে যায় তারা।

বাংলাদেশের হয়ে দুই উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার হন শরিফুল।
এ ছাড়া একটি করে উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেন, শেখ মেহেদি, শামিম পাটোয়ারী, তানজিম হাসান সাকিব ও হাসান মাহমুদ।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy