‘পঁচা শামুক’ এ টানা দ্বিতীয়বার পা কাটল রংপুর!
শুধুমাত্র দেশি ক্রিকেটারদের দিয়েই তাক লাগিয়ে দিলো দুর্বল খ্যাত দলটি। বিদেশিদের ম্যাচ বয়কটের ট্রাজেডির দিনে লো স্কোরিং থ্রিলারে টেবিল টপার রংপুরকে ২ রানের ব্যবধানে হারিয়েছে দুর্বার রাজশাহী, এবার যেন সত্যিই তাদের দুর্বার বলাই যায়।
মিরপুরের শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে রাজশাহীকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় রংপুর রাইডার্স। ব্যাটিংয়ে নামা রাজশাহীর শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। দলের ২০ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়েছে রাজশাহী। ৩ বলে ২ রান করে আউট হয়েছেন ওপেনার জিসান আলম। এছাড়া সাব্বির হোসেন আউট হন ১৩ বলে ১১ রান করে। পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে জোড়া উইকেট হারিয়ে ৩৭ রান তুলেছে রাজশাহী।
তিনে নামা এনামুল হক বিজয় এবং চারে নামা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীও বেশিক্ষণ টেকেননি। ১৬ বলে ১৩ রান করেছেন বিজয়, মৃত্যুঞ্জয় করেন ১০ বলে ১০ রান। এরপর টপাটপ উইকেট হারিয়েছে রাজশাহী। বাকিদের মধ্যে কেউ বলার মত আহামরি কিছু করে দেখাতে পারেননি। দায়িত্ব নিয়ে ব্যাটিং করতে না পারায় ধুঁকেছে রাজশাহী। মাঝে আকবর আলী ২১ বলে ১৯ রান করেছেন।
অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ ৮ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলেন। শেষ দিকে সানজামুল ইসলাম চালিয়েছেন লড়াই। কোনোমতে টেনেটুনে ১০০ পার করেছে রাজশাহী। সানজামুল শেষ পর্যন্ত টিকে থেকে ২৯ বলে ২৮ রান করেছেন। নির্ধারিত ২০ ওভারের খেলা শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান তুলেছে দুর্বার রাজশাহী।
রংপুরের হয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন খুশদিল শাহ। ২টি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং রাকিবুল হাসান। ১ উইকেট শিকার করেন আকিফ জাভেদ।
জবাব দিতে নেমেই যথাসম্ভব বাজে পারফরম্যান্স করেই শুরু করেছে রংপুর রাইডার্স। প্রথম ওভারেই ওপেনার স্টিভেন টেইলরের উইকেট হারিয়েছে রংপুর। ৪ বলে ২ রান করে বিদায় নেন স্টিভেন। তিনে নামা সাইফ হাসানও সুবিধা করতে পারেননি। পরের ওভারে আউট হয়েছেন সাইফ। ৩ বল খেলে রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নিয়েছেন সাইফ হাসান।
পাওয়ারপ্লের মধ্যে আরও ২ উইকেট হারিয়েছে রংপুর রাইডার্স। ১৩ বলে ৮ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন সৌম্য সরকার। ৩ বলে ০ করে আউট হয়েছেন শেখ মেহেদী হাসান। ৬ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে মাত্র ২৩ রান তুলতে পারে রংপুর।
পাওয়ারপ্লে শেষেও চলেছে রংপুরের ব্যাটারদের আসা-যাওয়ার মিছিল। একের পর এক উইকেট হারিয়েছে তারা। ক্রিজে দাঁড়াতেই পারছিলেন না ব্যাটাররা। ইফতিখার আহমেদ আউট হন ২০ বলে ১৪ রান করে। এর আগে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান করেছেন ৪ বলে ২। মাত্র ৩০ রানের মধ্যে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকেই যায় রংপুর রাইডার্স।
ভরসা হয়ে ক্রিজে টিকে ছিলেন খুশদিল শাহ। তবে এদিন তিনিও আশা দেখাতে পারেননি। ১৮ বলে ১০ রান করে দলের ৪৯ রানের মাথাতে আউট হয়েছেন খুশদিল। এরপর জুটি গড়েন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন এবং রাকিবুল হাসান। দুজনের জুটি থেকে আসে ৪২ রান। ২২ বলে ২০ রান করে আউট হন রাকিবুল।
শেষ দিকে লড়াই চালিয়ে গেছেন সাইফউদ্দিন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ২৫ রান। প্রথম দুই বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সমীকরণটাকে ৪ বলে ১৩ রানে নামান সাইফউদ্দিন। তবে টানা দুই ডটে ফিকে হয়েছে রংপুরের জয়ের আশা। শেষ বলে ছক্কা হাঁকালেও জয় আসেনি। ২ রানে জিতেছে দুর্বার রাজশাহী।
রাজশাহীর হয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন ম্যাচ সেরা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী। ২টি করে উইকেট নেন মোহর শেখ অন্তর এবং তাসকিন আহমেদ।