খেলার মাঠে সবার আগে
Nsports-logo

বুধবার, ৫ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫

হারের হেক্সা মিশনে সফল ঢাকা, জয়ের খাতা খুললো সিলেট

পর পর ৬ ম্যাচে হেরে পয়েন্ট টেবিলে তলানির শীর্ষে ঢাকা ক্যাপিটালস। প্রথম জয়ের দেখা মিললো সিলেট স্ট্রাইকার্সদের।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে থাকা দুই দলের ম্যাচে ঢাকার ছুঁড়ে দেওয়া ১৯৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয়ের ছন্দে দর্শকদের ভাসিয়েছে স্বাগতিক দল সিলেট। জাকির-জাকের-রনিদের নৈপুণ্যে প্রথম জয়ের দেখা পেল সিলেট স্ট্রাইকার্স। অন্যদিকে, হারের বৃত্তে বন্দী ঢাকা ক্যাপিটালস। সিলেট তাদের চতুর্থ ম্যাচে প্রথম জয়ের দেখা পেলেও ঢাকা ৬ ম্যাচ খেলেও রইল জয়হীন।

আসরের ১৬তম ম্যাচে মুখোমুখি হয় ঢাকা ক্যাপিটালস ও সিলেট স্ট্রাইকার্স। দুই দলই জয়হীন, অবস্থান পয়েন্ট টেবিলের তলানিতে। অবস্থার পরিবর্তন করতে দুই দলই মুখিয়ে ছিল জয়ের জন্য।

সে লক্ষ্যে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক থিসারা পেরেরা। ছক্কা হাঁকিয়ে তানজিদ হাসান তামিম বিদায় নেন প্রথম ওভারেই। এরপর ওয়ান ডাউনে নামা মুনিমকে নিয়ে দলের হাল ধরেন লিটন। দুজনের দারুণ পার্টনারশিপে ম্যাচে প্রাধান্য বিস্তার শুরু করে শাকিব খানের ঢাকা ক্যাপিটালস।

২৯ বলে অর্ধশতকের পর লিটন রানের ধারা অব্যাহত রাখেন। মুনিম চার হাঁকিয়ে অর্ধশতক পূর্ণ করেন ৪৬ বলে। এর ঠিক পরপরই সাজঘরে ফিরতে হয় লিটনকে। রাহকিম কর্নওয়ালের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ৪৩ বলের মোকাবেলায় রান করেন ৭৩, হাঁকান ১০টি চার ও ১টি ছক্কা।

লিটনের বিদায়ের পর থামতে হয় মুনিমকেও। কর্নওয়ালকে সামনে এগিয়ে এসে খেলতে গিয়ে স্টাম্পিং হয় ব্যক্তিগত ৫২ রানে। তার আগে ৪৭ বলে হাঁকান ৭টি চার ও ১টি ছক্কা। এরপর দলের হাল ধরেন সাব্বির রহমান। আগের ম্যাচে আড়াইশ ছুঁইছুঁই স্ট্রাইক রেটে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার এদিনও হাজির হন সাব্বির-শো নিয়ে, যা উদ্বেলিত করে সিলেটের দর্শকদের।

 

দ্রুত রান তুলতে চেষ্টার কমতি করেননি সাব্বির। আউটও হন বড় শট খেলতে গিয়ে। তার আগে ১০ বলে ২৩ রানের ইনিংস সাজান তিনটি ছক্কায়। কম যাননি অধিনায়ক থিসারা পেরেরাও। দ্রুত রান তুলতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন তিনিও। আর তাতে ঢাকা পায় ১৯৩ রানের বিশাল পুঁজি।

জবাব দিতে নেমে জাকির হাসানের ২৭ বলে ৫৮ ও রনি তালুকদারের ২০ বলে ৩০ রানের ইনিংসে সিলেট পায় জয়ের দেখা। বড় ভূমিকা রেখেছেন আরেক লোকাল বয় জাকের আলী অনিকও। জাকির এদিন হাঁকান সাতটি চার ও তিনটি ছক্কা।

এরপর ১৭ বলে ২৪ রান করে জাকের বিদায় নিলেও সমালোচনার জবাব দিয়ে অধিনায়ক আরিফুল হক ঝড়ো ইনিংস খেলে নিশ্চিত করেন দলের জয়। ৩ উইকেটের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্বাগতিকরা। আরিফুল ১৫ বলে ২৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More

Privacy & Cookies Policy